বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] আগামী বাজেটে এবারে নতুন করে কর হার কমানো বা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন এনবিআরের একজন কর্মকর্তা। তবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু বিনিয়োগে আয় কর অব্যাহতি ছিল এবারে তা সংশোধন করে উৎস্যে ৪৪ শতাংশ করারোপ করা হতে পারে।
[৩] এরবাইরে কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান আইনে সংশোধন এনে শুধুমাত্র ২০ শতাংশ করারোপে বিনাপ্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হতে পারে। এ ছাড়াও শেয়ারবাজারে ও কৃষি শিল্পে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হতে পারে। বর্তমানে হাইটেক শিল্প পার্ক ও বিশেষ ইকনোমিক জোনে কালো টাকা বিনিয়োগ করা যায়। আবার নির্ধারিত করের উপর ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ও ফ্লাট ক্রয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে।
[৪] এ বিষয়ে সাবেক এনবিআর সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র সামরিকবাহিনী সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমরা কিছু টাকা সাদা করতে পরেছিলাম। এর বাইরে আরো ১০ বার এ সুযোগ দেয়া হয়েছে। যাদের টাকা আছে তারা কেউ সাদা করে না। কারণ বিনা প্রশ্নে এনবিআর কারো টাকা মেনে নিলেও দুদকসহ অন্য প্রতিষ্ঠান এসব মানেনা। যারা ট্রুথ কমিশনে টাকা দিয়েছিলেন তাদের তো আবার তদন্ত করা হয়েছে। যাদের বেশি কালো টাকা আছে তারা জানেও কিভাবে টাকা রাখতে হয়।
[৫] এনবিআর সূত্র জানায় এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকারের সময় হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
[৬] সম্প্রতি সিপিডি কালো টাকা সাদা করার বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, এতে সমাজে দুর্নিতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয়। সৎ করদাতারা কর দিতে নিরুৎসাহিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :