রায়হান রাজীব : [২] আইইডিসিআর উপদেষ্টা ও করোনা জাতীয় সমন্বয় কমিটির এ সদস্য বলেন, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ঈদের পর অনেক স্যাম্পল জমা হয়েছে। কিন্তু শনাক্ত করার হার হচ্ছে যত টেস্ট করা হচ্ছে তার সর্বোচ্চ শতকরা ২২ ভাগ পজিটিভ হয়েছে। এর আগে ২০ থেকে ২১ ভাগ ছিল। মানবজমিন।
[৩] অর্থনৈতিক চাপটাকে আমাদের সামলাতে হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষকে সামাজিক সহায়তা দিতে হবে। যেন তাদের প্রতিদিন খাবারের জন্য ঘরের বাইরে আসতে না হয়। এবং অন্যান্য অফিস আদালতে যারা আছেন তাদের পর্যায়ক্রমে সংক্রমণটা কমিয়ে আনতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য কিন্তু সক্রিয় কোনো কার্যক্রম নেই। রোগীরা নিজেরাই হাসপাতালে আসছে। যাদের খুবই খারাপ অবস্থা। কিন্তু মৃদু লক্ষ্মণযুক্ত অধিকাংশ রোগী নিজেরা শনাক্তই হচ্ছেন না। যারা নিজ উদ্যোগে শনাক্ত হচ্ছেন তারা অধিকাংশ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরো অনেক রোগী আছেন যারা করোনা নিয়ে ঘোরাফিরা করছেন। তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মহামারি কিন্তু কমবে না।
[৫] যেখানে যেখানে সংক্রমিত রোগী আছে তাদের ঘরে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক সহায়তা করে আলাদা করে ফেলতে হবে। সবার টেস্ট করা হয়তো সম্ভব হবে না। কমিউনিটিতে জ্বর পেলেই তাদের আলাদা করে ঘনবসতি এলাকার লোকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এতে করে রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।