শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২০, ০১:২২ রাত
আপডেট : ৩০ মে, ২০২০, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]লিবিয়ায় নিহতদের মধ্যে ২৪ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

আক্তারুজ্জামান : [২] বৃহস্পতিবার রাতের মর্মান্তিক ঘটনার পর বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশকিছু তথ্য জানিয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাস হতে অনুসন্ধানে জানা যায়, লিবিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী অপহরণকৃত বাংলাদেশিদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আনুমানিক ২৬ (ছাব্বিশ) জন বাংলাদেশি ঘটনাস্থলে নিহত হন।

[৩] এ ঘটনায় আহত আরো ১১ বাংলাদেশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অপর দিকে হত্যাকাণ্ড থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে এক বাংলাদেশি স্থানীয় এক লিবিয়ান নাগরিকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনায় নিহত বাকি চারজন আফ্রিকান নাগরিক।

[৪] হতাহতদের মধ্যে আহত ১১ জন ও ‘নিখোঁজ বা মৃত’ ২৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। খবর : বাংলাদেশ জার্নাল।

[৫] আহত ১১ জন হলেন : মাদারীপুরের তিনজন ফিরোজ বেপারী, মো. আলী ও সম্রাট খালাসী। ফরিদপুরের  মো. সাজিদ, কিশোরগঞ্জের তিনজন মো. জানু মিয়া, সোহাগ আহমেদ ও  মো. সজল মিয়া। গোপালগঞ্জের ওমর শেখ, টাঙ্গাইলের মো. তরিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গার দুজন মো. বকুল হোসাইন ও বাপ্পী। এরা সবাই ত্রিপোলি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

[৬] ‘নিখোঁজ বা মৃত’ ২৪ জন : গোপালগঞ্জের সুজন ও কামরুল; মাদারীপুরের জাকির হোসেন, সৈয়দুল, জুয়েল ও ফিরুজ, জুয়েল ও মানিক, টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা (মৃত) ও মনির, ইশবপুরের সজীব ও শাহীন, দুধখালীর শামীম; ঢাকার আরফান (মৃত); টাঙ্গাইলের  লাল চান্দ; কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাজন, শাকিল, সাকিব ও সোহাগ, রসুলপুরের আকাশ ও মো. আলী, হোসেনপুরের রহিম (মৃত) এবং যশোরের রাকিবুল।

[৭] উল্লেখ্য, মিজদাহ শহরে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান এবং এ অঞ্চলটি এখন দুটি শক্তিশালী পক্ষের যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে। কিছুদিন আগে ত্রিপোলি ভিত্তিক এবং ইউএন সমর্থিত জিএনএ সরকার এই অঞ্চলটি দখল করে নিলেও জেনারেল হাফতারের নেতৃত্বাধীন পূর্ব ভিত্তিক সরকারি বাহিনী দু’দিন আগেও শহরটিতে বোমাবর্ষণ করেছে। ত্রিপোলি ভিত্তিক সরকারের এ অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়