লাইজুল ইসলাম : [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, এখনো নিশ্চিত করে বলা যাবে না কবে নাগাদ আমাদের পিক টাইম আসবে। ধারণাও করা যাচ্ছে না। কারণ যে হারে মানুষ ঢাকার বাইরে গিয়েছে তাতে যদি ঢাকার বাইরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ে তবে পিক টাইম কবে তা বোঝা যাবে অন্তত আরো ২০ দিন পর।
[৩] ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কেউ তো কথা বা নির্দেশনা শুনেনি। সবাই মিলে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছে। এটা যে কত বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করলো কেউ তা ভাবেনি। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে কোথায় যাবে বলা যাচ্ছে না।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, এই মুহুর্তে লকডাউন তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সব কিছুতেই ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় কমিটিও এখনো বলেনি দেশে কবে নাগাদ পিক টাইম আসবে। এখন আপাতত বাড়তে থাকবে সংক্রমণ তা বোঝা যাচ্ছে।
[৫] রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলোমগীর বলেন, এখনো বলা যাচ্ছে না কবে পিক টাইম আসবে। যারা ঢাকার বাইরে গেছেন তারা ফেরত আসছেন। তাদের সংক্রমণের বিষয়টি বোঝা যাবে ১৪ বা ১৫ জুনের দিকে। এর পর হয়তো বোঝা যাবে পিক টাইম কবে।
[৬] ডা. আলোমগীর বলেন, গ্রামে যারা ঢাকা থেকে গেছেন তারা কতটুকু সংক্রমন করেছেন তা দেখা যাবে ৭ তারিখের দিকে। তাই এখনো আমরা বলতে পারি না কবে নাগাদ পিক টাইম। তিনি জানান, জাতীয় কমিটিও এখনো বলেনি পিক টাইম কবে নাগাদ।
[৭] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রাশিদ ই মাহবুব বলেন, পিক টাইম দিয়ে কি হবে। সব কিছু খুলে দিচ্ছে। এতে করে সংক্রম যে হারে বাড়বে তার সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে পারে। তাই এই সময়ে খুব প্রয়োজন লকডাউন বৃদ্ধি করা।
আপনার মতামত লিখুন :