ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : [২] দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভারী বর্ষনে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবীত হয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫০ জন কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
[৩] গত রোববার ঈদের রাত ও মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন দিবাগত রাতে ঝড় ও ভারী বর্ষনে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের ৭টি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের দুটি মৌজায় নিম্নাঞ্চল প্লাবীত হয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়।
[৪] খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন নিম্নাঞ্চল প্লাবীত হয়ে তার ৫ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে, একই ভাবে তলিয়ে গেছে তার ভাই হাফিজুর রহমান ও সিরাজুলের ধানও। বারাইপাড়া বাচ্চু মিয়া বলেন তার ডেড় বিঘা জমি তলিয়ে গেছে, একই ভাবে তলিয়ে গেছে মহদীপুর গ্রামের রুহুল আমিন, আলম মিয়াসহ লালপুর, মহেষপুর পুর্ব নারায়নপুর কিসমতলালপুর গ্রামের প্রায় ১৫০ জন কৃষকের ধান।
[৫] কৃষকরা জানায় প্রাতি বিঘা জমিতে ৩০মন করে বোরো ধান উৎপাদন হলেও, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ৩০ভাগ ধানও তারা ঘরে তুলতে পারছেনা। কৃষকরা বলেন পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারনে ধান কাটার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছেনা, এই কারনে প্রতিবিঘা জমিন ধান কাটতে তাদেরকে তিন হাজারের অধিক টাকা খরছ করতে হচ্ছে। এতেকরে তাদের মাথায় হাত পড়েছে।
[৬] খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল বলেন গত কয়েক বছর থেকে পানি নিস্কাশনের পথ রোধ করে ঘোনাপাড়া মৌজায় পুকুর খনন করায়, খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব নারায়নপুর, লালপুর, মহদীপুর, মহেষপুর, কিসমত লালপুর উত্তর লক্ষিপুর, অম্রবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের গড়পিংলাই ও বারাইপাড়া মৌজার প্রায় ২২শ বিঘার জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। এই জমির মধ্যে বর্তমানের ৬০ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে, বাকি ৪০ ভাগ জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই জন্য তিনি পানি নিস্কাশনের পথ সৃষ্টি করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
[৭] এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন বর্তমানে অনেক জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে, তিনি বলেন ওই এলাকায় ২০ ভাগ জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতেকরে ১০ ভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :