আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] গত সপ্তাহে চীন সামরিক বাজেট বরাদ্দ ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে। এজন্য অন্যান্য খাত থেকে কমাতে হয়েছে বরাদ্দের পরিমাণ। নানান কারণে বেইজিং নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করছে। এজন্য পিপলস লিবারেশন আর্মির ক্ষমতা বাড়াতে চাচ্ছে দেশটি। সিএনএন, এমএসএন
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই ইঙ্গিত গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ আর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে পিএলএ বলে শিনহুয়া জানিয়েছে।
[৪] কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খাাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে চীন। ২০২০ সালেই প্রথমবারের মতো কোনও অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি দেশটি। গত বছর দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৬.১ শতাংশ। যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
[৫] দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট অতিমহামারী তৈরীর জন্য বারবার চীনকে দায়ী করে আসছেন। সম্প্রতি ভারত সীমান্তেও দু দেশের সামরিক বাহিনী হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছে।
[৬] শিনহুয়া বলছে, পিএলএর তিন বাহিনীই যুদ্ধপ্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেবে চীন।
[৭] তবে সামরিক বাজেট বাড়াতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্য খাতগুলো। জেনারেল পাবলিক সার্ভিসের বাজেট কমেছে ১৩.৩ শতাংশ। পররাষ্ট্র খাতে কমেছে ১১.৮ শতাংশ ,শিক্ষায় ৭.৫ শতাংশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৯.১ শতাংশ বাজেট কমেছে।