সুজন কৈরী: [২] বাইরে বের হয়নি অধিকাংশ মানুষ। আর বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় নেই চিরচেনা আমেজও।
[৩] করোনার কারণে কার্যত লকডাউনের মধ্যে দেশে প্রথম ঈদ উৎযাপিত হয়েছে। অন্যান্য সময় ঈদে ঢাকা ফাঁকা থাকলেও এবারের ফাঁকাটা একেবারেই অন্যরকম। ঈদের সময় অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও রাস্তায় যানবাহন ও মানুষজন থাকে। করোনার কারণে এবার তা নেই। করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ঘরে থাকায় রাজধানীর কোথাও কোনো উল্লেখযোগ্য গণজমায়েত নেই। তবে পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি ভেঙ্গে ঈদ উৎযাপনের চিত্রও চোখে পড়েছে।
[৪] এছাড়া করোনার কারণে এবার ঈদে দেশের সব মহাসড়কই ছিল একেবারেই ফাঁকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারিতে মহাসড়কগুলোতে কিছু মানুষের দেখা মিললেও তা খুবই সীমিত। দীর্ঘ সময় পরপর জরুরি সেবায় নিয়োজিত দুয়েকটি পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করলেও কোনো ভিড় ছিল না।
[৫] ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে খুব একটা যানবাহন চোখে পড়েনি। মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও কাওরান বাজার এলাকা ঘুরে হাতে গোনা কয়েকটি রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। যারা বেরিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই হাসপাতাল বা জরুরি কোনো প্রয়োজনে বেরিয়েছেন। তবে সেই সংখ্যা অনেক কম। এছাড়া বয়সে তরুণদেরও মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখা গেছে। কোনো কোনো মোটরসাইকেল একাধিক আরোহীও ছিল। রুটি-রুজির আশায় রিকশা ও সিএনজি চালকরা বেড়িয়ে যাত্রী না থাকায় পড়েন বিপাকে। বিভিন্ন মোড়ে বাইক নিয়ে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানদের বাইকারদের। যাত্রী না থাকায় তারাও হতাশা প্রকাশ করেন।
[৬] এদিকে রাস্তায় যানবাহন না থাকায় অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। তবে নিয়মিত টহল দিতে দেখা গেছে তাদের।
[৭] নগরবাসী বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তবে তাদের আশা দ্রæত এই মহামারী শেষে ঢাকা আবারও তার চিরচেনা রূপে ফিরবে।
[৮] এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া কোনো মানুষজন চোখে পড়েনি। রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর একজন সদস্য জানান, তারা প্লাটফরমগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। খিলগাঁও এলাকা দিয়ে মাঝে মধ্যেই নেশাগ্রস্ত কিছু যুবক ও পথশিশুরা স্টেশনে ঢুকে পড়ে। তারা লাইট, মনিটরসহ দামী জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। এজন্যই পালা করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
[৯] মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। ফাঁকা রাস্তায় দুয়েকটি রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চলছিল।