স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ২৫ টা বছর একে অপরের হাত ধরে কাটিয়ে দিলেন শচীরন টেন্ডুলকার ও অঞ্জলি টেন্ডুলকার। তাদের বিবাহের নেপথ্যে যে ঘটনা আছে তা কোনও সিনেমার তুলনায় কম নয়।২৫ মে তাদের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী ছিলো।
[৩] ৯০-এর দশকে ভারতীয় ক্রিকেটে পা রাখেন শচীন টেন্ডুলকার। তারপর মাস্টার ব্লাস্টার হতে খুব বেশি সময় ব্যয় করেননি তিনি। সেই সময়ই শচীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অঞ্জলির। ১৯৯০ সালে এক বিমান বন্দরে প্রথম দেখেন অঞ্জলিকে, আর প্রথম দেখাতেই প্রেম। এক সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি জানিয়েছিলেন শচীন।
[৪] আর গতকাল অঞ্জলি জানান, তিনি মাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময়ই তার চোখ পড়ে ইংল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফেরা শচীনের ওপর। সেই সময় অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু, তিনিই বলেছিলেন, এই খেলোয়াড়ই ইংল্যান্ডের মাঠে একশত রান করেছেন।
[৫] এটা শোনা মাত্রই অটোগ্রাফ নেয়ার জন্যশ চীনের পিছনে ছুঁটতে গিয়ে মাকে রিসিভ করতেই ভুলে গেছিলেন অঞ্জলি। এরপর সেই বন্ধুর সাহায্যে শচীনের ফোন নম্বর যোগাড় করতে সক্ষম হন অঞ্জলি, কথা শুরু হয় তাঁদের মধ্যে, আর সেখান থেকে সম্পর্কের সূচনা।
[৬] প্রথমবার শচীনের সঙ্গে দেখা করতে সাংবাদিক সেজে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। বাড়িতে গিয়ে যখন শচীনকে তিনি চকলেট দেন, তখন তা দেখে ফেলেন শচীনের মা। তখন তিনি সরাসরি অঞ্জলিকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি সত্যিই সাংবাদিক?
[৭] প্রেম চলাকালীন তারা দুজনে মিলে একটা সিনেমা দেখেছিলেন, যার নাম 'রোজা'। আসলে সেই সময় শচীনের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গেছিল যে, তার বাড়ি থেকে বের হওয়াটা অসম্ভব ছিল। অঞ্জলির ইচ্ছাপূরণ করতে আত্মগোপন করে সিনেমা দেখতে হয়েছিল শচীনকে। কিন্তু ইন্টারভেলের সময় আশেপাশের দর্শকরা শচীনকে চিনে ফেলায় মাঝপথেই হল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাকে।
[৮] ৫ বছরের প্রেমের পর বিয়ে করেছিলেন শচীন-অঞ্জলি। আসলে শচীন ছিলেন খুবই লাজুক প্রকৃতির, যার ফলে কিছুতেই বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে পাচ্ছিলেন না। তখন তিনি অঞ্জলিকে সেই দায়িত্ব দেন, আগে অঞ্জলিকেই তার পরিবারের সামনে বিয়ের কথা বলতে হয়েছিল।১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা, বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বাইতে।
[৯] দেখতে দেখতে একই ছাদের নিচে ২৫ বছর কাটিয়ে দিলো এ জুটি। অর্জুন ও সারা নামে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মা-বাবাও হয়েছে এ দম্পতি।
আপনার মতামত লিখুন :