ইকবাল খান: [২] পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে নদিয়া, মুর্শিদাবাদে গেল কেন প্রশ্নের জবাবে ভারতের আবহাওয়াবিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, মিয়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলে বিরাজমান উচ্চচাপ বলয়ের কারণে আম্ফান বাংলাদেশের দিকে বাঁক নিতে পারেনি। উল্টো সোজা চলে এসেছে কলকাতার দিকে। সূত্র: আনন্দবাজার।
[৪] ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের দিকে এলে তা উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়।
[৫] এর আগে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর কিংবা ২০১৯ সালে বুলবুলের সময় তা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত বুধবার মিয়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের কাছে একটি শক্তিশালী উচ্চচাপ বলয় ছিল। তার কারণেই সুন্দরবন থেকে বাঁক নিতে পারেনি ঘূণিঝড় আম্ফান। আবহাওয়াবিদরা জানান, স্থলভূমিতে ঢোকার পরেই কলকাতার উত্তর-পূর্ব দিক থেকে কোনাকুনি ভাবে উঠে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে আম্ফান।
[৬] সাধারণত, উপকূলের কাছে এলেই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, এবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছেও সাগরের জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ছিল। তার ফলে জল বাষ্পীভূত হয়ে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে পর্যন্ত আম্ফানের শক্তি বৃদ্ধি করেছে।