সুজন কৈরী : [২] চলমান করোনাযুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১ হাজার ১১৯ জন সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন।
[৩] পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) সোহেল রানা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন করে ১৫২ জনসহ পুলিশের ৪ হাজার ৫৩ জন সদস্য জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ সেবার দৃপ্ত শপথ বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থতার হার দ্রæত বাড়ছে।
[৫] পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শনাক্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রæষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশে শনাক্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রæত বাড়ছে সুস্থতার হারও।
[৬] চলমান করোনাযুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের প্রধান অগ্রসেনানী বাংলাদেশ পুলিশ। এ কারণে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সবার আগে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবুও একবিন্দু দমে না গিয়ে শক্ত মনোবল আর পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :