রাশিদ রিয়াজ : [২] ফ্রান্সের বাজেট মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন লা ফিগারোকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা বড় এক যোগসূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৩] ডারমানিন ব্যাখ্যা করে বলেন ফ্রান্স সরকার যে সব শিল্প করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ করে রেঁস্তোরা ব্যবসা, পর্যটন, স্পোর্টস ও সংস্কৃতি বিষয়ক খাতে ৩.২ বিলিয়ন ডলারের কর ছাড় দিচ্ছে।
[৪] এছাড়া বেশ কিছু কোম্পানি আগামী তিন বছর কর দিতে বিলম্ব করবে। গত এপ্রিলের শেষে ফ্রান্সের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইনসি জানায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৫.৮ শতাংশ।
[৬] এদিকে গত দুই মাসে লকডাউনে ফ্রান্সের অর্থনীতিতে ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১২০ বিলিয়ন ইউরো। সরকারি অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ওএফসিই এ তথ্য দিয়ে বলছে লকডাউনের কারণে ১২০ বিলিয়ন ইউরো রাজস্ব হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি দেশটির নাগরিকদের বাধ্য হয়ে সঞ্চয়ের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ইউরো। যা তারা করোনার কারণে খরচ করেনি।
[৭] লকডাউনে জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৩২ শতাংশ। এসময় জাতীয় আয় কমেছে ৬০ শতাংশ। ব্যবসা কমেছে ৩৫ শতাংশ। ফ্রান্সের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো নির্ভর করছে লকডাউন কত শিগগির প্রত্যাহার হবে।
[৮] লকডাউনে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ।
আপনার মতামত লিখুন :