মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারী বিস্তার রোধে ডাকা লকডাউনে ধসে যায় পর্তুগালের অর্থনীতি। চরম মহামন্দায় কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয় দেশটির অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। দিনে দিনে ভারি হয় তরুণ কর্মহীনদের তালিকা। এরইমধ্যে এপ্রিলে দেশটিতে ৫২ শতাংশ তরুণ কর্মহীনরা বেকার সুবিধার আবেদন করে। রয়টার্স
[৩] সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির তথ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানায়, গত মাসে প্রায় ২ লাখ মানুষ বেকার সুবিধার আবেদন করে। যা গেলো বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি এবং মার্চের তুলনায় যা ১৪ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী তরুণদের আবেদন বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের আবেদন বেড়েছে ২০.৪ শতাংশ।
[৪] এ বিষয়ে দেশটির লিসবন শহরে চাকরি হারানো মারিয়ানা বলেন, করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের সময় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ জনের চাকরি চলে যায়। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে যা দিয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। এতে এ সঙ্কটের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
[৫] প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা পেলেও চাকরি হারানোয় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন মারিয়ানা। তিনি বলেন, করোনার মত এমন পরিস্থিতিতে চাকরি হারানোয় হতাশ লাগছে। তবে নতুন কোন চাকরি পেলে এ হতাশা কেটে যাবে।
[৬] এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী মারিয়ো সেন্টিনো বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। এরইমধ্যে কমতে শুরু করেছে বেকারত্ব। বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৬.৭ শতাংশ হলেও বছর শেষে অন্তত ১০ শতাংশ বেকারত্ব থেকে যাবে।
[৭] দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭৮৮ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩০ জন।
আপনার মতামত লিখুন :