বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] এনবিআর চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রণালয়কে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কম রাখার জন্য চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনায় সামাজিক.অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্বিত বিশৃংখলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের ভোগ কমবে। আর ভোগ কমলে পরোক্ষকর ও প্রত্যক্ষ্য কর দুটিই কমবে।
[৩] অর্থমন্ত্রণালয়, বলছে আগামী বাজটে লক্ষ্যমাত্রা বেশি দেয়া হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অর্থাৎ আগামী ২০২০-২১ সালে এনবিআরের আয় করতে হবে ৩ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ৩ লাখ ২৫ হাজারকোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার আয়ে কমিয়ে দিলাম ২৫ হাজার কোটি টাকা। ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ও আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৬ শতাংশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরলেও এনবিআরকে খুবই নমিনাল টার্গেট দেয়া হয়েছে।
[৪] সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামীতে করহার বাড়ানোর তেমন সুযোগ নেই। কিন্তু প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ্য করে অনেক ফাঁকা রয়েছে। আবার কওে অনেক ফাঁকিও রয়েছে। এগুলো যদি সরকার সংস্কারের মাধ্যমে কমাতে পারে তবে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়ে উদ্বৃত্ব থাকবে। যা কোভিড উত্তর অর্থনীতিকে দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তা করবে।
[৫] রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত তারা মোট রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। ২ মাসে তাদের আদায় করতে হবে। ১ লাখ ২৭হাজার কোটি টাকা।