সুজন কৈরী : [২] ছাটাই বন্ধ করে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিন সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে এক প্রতীকী সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনয়ন (ডিইউজে)।
[৩] ডিইউজে'র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, আজকে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বন্ধু মহলে সময় কাটাতে পারতাম। কিন্তু আমরা দেখছি এই করোনার ভাইরাসের সময়েও অনেক প্রতিষ্ঠান, আমাদের-সাংবাদিকদের বেতন-বোনাস দেয় নাই, অপরদিকে চাকুরিচুত্য করেছে। এই অবস্থা চলতে পারে না। সাংবাদিকদের চাকরিচুত্য বন্ধ করতে হবে, বেতন বোনাস দিতে হবে, যারা দিবেন না তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে ভয়াবহ কর্মসুচি সহ ধর্মঘটও আসতে পারে।
[৪] বিভিন্ন মিডিয়ার মালিকদের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, 'ইউনিয়ন কিন্তু আগের জায়গায় নেই। যে সকল মালিকেরা মনে করেন ইউনিয়নকে তাদের মতো করে পুষতে পারবেন তারা ভুল জায়গায় আছেন। চাকরিচুত্য বন্ধ করুন, বেতন বোনাস দেন না হলে কঠর কর্মসুতি দেওয়া হবে। যারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মালিকদের কাছে দালালি করে, সাংবাদিক কমিউনিটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, ভুঁইফোড় কিছু সংগঠন চ্যারিটি করছেন, এগুলো বন্ধ করেন, ইউনিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত হন, ইউনিয়নকে শক্তিশালী করেন। ইউনিয়ন শক্তিশালী হলে আমাদের দাবি আদায় সহজ হবে।
[৫] তিনি বলেন, যে সকল সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা মারা গেছেন তাদের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
[৬] ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, করোনা কালে ছাটাই আমরা মানি না। যারা ছাটাই করছেন তাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি বার্তা, আপনারা নিজেদের বিলাশিতায় অর্থ খরচ করছেন অথচ সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন বোনাস দিচ্ছেন না। যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার লঙ্ঘন।
[৭] তিনি বলেন, 'আলোকিত বাংলাদেশ, এসএ টিভি, গাজি টিভি, আগামী নিউজ, যায়যায়দিন, এনটিভি, এই প্রতিষ্ঠান গুলো ঢালাও ভাবে সাংবাদিকদের ছাটাই করে অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। আপাতত আমাদের এই প্রতীকী কর্মসুচী, আগামীতে আরও বৃহতর কর্মসুচি আসবে'।
[৮] প্রতীকী সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিইউজে'র যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :