শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২০, ১১:৩১ দুপুর
আপডেট : ২৫ মে, ২০২০, ১১:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] এমন দৃশ্য আগে দেখেনি শিমুলিয়া ঘাট

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] রাত পোহালেই ঈদ। কিন্তু শিমুলিয়া ঘাটে নেই তোড়জোড়। করোনাভাইরাসের প্রভাব স্পষ্ট এখানে। নেই ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তাই নেই তেমন ব্যস্ততা। ঈদের সময় তো বটেই অন্য সময় শিমুলিয়া ঘাটে এমন দৃশ্য দেখা যায় না।

[৩] করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে গত ২৩ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় ঘাটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। জরুরি পরিসেবার জন্য সীমিত আকারে চালু ছিল ফেরি। তবে যাত্রীর চাপে তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনদিন পর শুক্রবার থেকে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ঈদের আগের দিনও এখানে নেই আগের সেই আবহ।

[৪] অথচ প্রতি ঈদের আগে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঘরমুখো লাখো মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকতো। মুখরিত থাকতো নৌরুট। ফেরি ঘাটে থাকতো শত শত ছোট বড় যানবাহনের জটলা। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিটিসি, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দম ফেলানোর ফুসরত থাকতো না। কিন্তু এবার লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ। ফেরি চলাচলও সীমিত। শিমুলিয়া ঘাটে তাই যাত্রী ও যানবাহনের ব্যস্ততা নেই।

[৫] শিমুলিয়া ঘাটসহ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছর শিমুলিয়া ঘাটে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ওয়াচ টাওয়ার থাকতো। পুলিশর সদস্যরা মহাসড়কসহ ঘাটের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতেন। কিন্তু এবার মানুষের সেই পদচারনাও নেই, ব্যস্ততাও নেই।

[৬] ঘাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা জানান, রোববার সকালে ফেরি ঘাটে যাত্রীর কিছুটা চাপ ছিল। দুপুর নাগাদ চাপ কমে আসে। আর লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে নিরব আবহ। তারা জানান, সকালের চাপে ফেরিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে গাদাগাদি করে যাত্রীরা গন্তব্যে রওনা হয়ে গেছেন।

[৭] শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাত্রী এসেছে শিমুলিয়া ঘাটে। ঘাট থেকে দূরে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

[৮] মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, ৪টি রোরো, ৫টি ড্রাম, ৩টি কেটাইপ ও ২টি মিডিয়ামসহ মোট ১৪ টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌ-রুটে। বিআইডব্লিউটিসি'র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ফেরিতে ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।সমকাল, প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়