প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ঢাকা ছেড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পায়ে হেঁটে, ব্যাক্তিগত গাড়িতে যে যেভাবে পেরেছে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে ঢাকা ছেড়েছে।
[৩] এদিকে প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, সংক্রমণের পিক মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। এর মধ্যে ঈদকে ঘিরে ঢাকা ত্যাগ সারাদেশ জুড়ে সংক্রমণের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
[৪] প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের অনেক স্থান কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাইরে ছিলো। কিন্তু যে হারে মানুষ রাজধানী ছেড়ে দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে, তাতে সংক্রমণের হার ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে। ফলে দেশ বড় রকমের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে।
[৫] চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের পর লকডাউন আরও কঠোর করার পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি বুঝতে পারবো। দেশে সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে। সেক্ষেত্রে সামনে জনসাধারণের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হতে হবে।
[৬] তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মারা গেছেন অনেকেই। সংক্রমণ আরও বাড়লে তারা যদি রোগী হয়ে যায় পরিস্থিতি সামাল দিবে কে?
[৭] তাছাড়া রোগী বাড়লে হাসপাতালে বেড দেয়া সম্ভব হবে না। আইসিইউ’র সংখ্যাও কম। আরো অনেক সীমাবদ্ধতাতো রয়েছেই। সূত্র : বাংলাভিশন, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :