রাশিদ রিয়াজ : [২] যে গার্মেন্টস কর্মীর মনটি পড়ে আছে মায়ের আঁচলে বাধা সে মা তা খুলতে পারছেন না শুধু চোখের জল ফেলছেন। এবার তার ঈদ নেই। তার মত অসংখ্য মা মুখ বুঝে কাঁদবেন সন্তানকে কাছে না পেয়ে। তাও ভাল থাকুক, তার সন্তানের চাকরিটা অন্তত থাকুক।
[৩] ঈদের ময়দানে জামাত নেই। নেই সোলাকিয়ায় শত বছরের পুরোনো জামাতও। কোলাকুলি নেই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবধান করে দিয়ে বলেছেন ঘরে বসে ঈদ পালন করতে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশেরমত বাংলাদেশীরাও করোনা ঝুঁকিতে। ঘনবসতির দেশ বাংলাদেশ।
[৪] ঈদ আছে , প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করা বারণ। খুব সাবধানে সন্তর্পণে মুখ চাওয়া চাওয়ি কেবল। যে মেয়েটি প্রতি ঈদে বাবার পাঞ্জাবি ইস্ত্রি করে দেয় পরম মমতায় এবার তার সন্দিগ্ধ চাহনি বাবা নামাজে যাবে তো!
[৫] তাও গরীবের ফেতরা আদায় হয়েছে এও এক পাওনা। নতুন টুপি, জামা, জুতা আর রঙ্গিন মন হয়ত এবার ধুসর হয়ে থাকবে ঈদে কিন্তু বেঁচে থাকতে হবে তারচেয়েও কঠিন এক লড়াইয়ে।
[৬] বেঁচে থাকলে ঈদ ফের ফিরে আসবে। এসময় পরিবহন শ্রমিকদের, পুলিশ সদস্যদের, প্রশাসনের ঘুম কি না হারাম হয়ে যায় কিভাবে মানুষ বাড়ি ফিরে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে খুশির ঈদ করবে। এবার তা হালাল হয়ে গেছে যাতে কেউ বাড়ি যেতে না পেরে এমন এক কঠিন দায়িত্ব পালনে পড়ে। লাখলাখ পরিবহন শ্রমিক কিইনা কষ্টেই দিন কাটাচ্ছেন।
[৭] তারপরও ঘরে ঘরে সেমাই হয়ত রান্না হবে। মোবাইল ফোনে সেলফি। নিস্তরঙ্গ ঈদ এটা যেন কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এমন সব হা হুতাশ করা মন্তব্য জুড়ে থাকবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরবির কমতিও পড়বে না। তবুও এ ঈদে সকলের শুভ কামনা করে, সকলে এই আশা করে যেন সবাই থাকেন সহিসালামতে। যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের স্বজনদের এই ঈদে থাকল সমবেদনা।
আপনার মতামত লিখুন :