ইসমাঈল আযহার: [২] রাত পোহালেই কাল ঈদুল ফিতর। মুসলিমদের বড় উৎসবের একটি এই ঈদ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পাশাপাশি মুসলিমরা অপেক্ষায় থাকে উৎসবের। প্রতি বছর ঈদের উৎসব ঘিরে শহরের কর্মজীবী মানুষেরা গ্রামে ফেরে। পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন।
[৩] সারা রাত আড্ডা ও হইহুল্লড় করে ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি। গোসল করে নানা রঙের নতুন নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি-পাজামা পরিধান করে ঈদের নামাজ আদায়, নামাজ শেষে কোলাকুলি, সেমাই-ফিরনিতে মিষ্টিমুখ করা, পরিবার ও শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় জমে ওঠে ঈদের আনন্দ। দীর্ঘ বিরতির পর মা-বাবা, ভাই-বোন, আপনজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে অপেক্ষার প্রহর গোণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
[৪] এবার করোনাভাইরাসের কারণে ঈদ আনন্দের সেই চিরচেনা রূপ আর নিয়ম ভেস্তে গেলো। শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্বের মুসলিমরাই এবার অন্য রকম এক ঈদ উপভোগ করবে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদের নামাজ পড়া হবে না, কোলাকুলি করাও হবে না। হবে না বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা মারা আর হইহুল্লড় করে ঘুরে বেড়ানো।
[৫] একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে পণ্ড করে দিতে চলেছে। মাটি হতে চলেছে ঈদুল ফিতরের পবিত্র উৎসব। ভাইরাসটি ১৯০ কোটি মানুষের ঈদ আনন্দ ফিকে করে তুলেছে। আমাদের ঈদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেলেও, সব আনন্দ মাটি হলেও প্রত্যাশা থাকবে আবার ফিরে আসুক সুদিন। করোনাকে জয় করে অবসান ঘটুক দুর্বিষহ জীবনের।
আপনার মতামত লিখুন :