রাশিদ রিয়াজ : দুবাই চেম্বার অব কমার্স এক জরিপে এধরনের তথ্য দিয়ে বলছে করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও চাহিদা ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় আগামী ৬ মাসে এসব কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলবে। মিডিল ইস্ট মনিটর
[২] জরিপে উত্তরদাতা হিসেবে অংশ নেন বিভিন্ন খাতে কর্মরত ১২’শ ২৮ জন নির্বাহী পরিচালক। জরিপটি পরিচালনা করা হয় গত ১৬ থেকে ২২ এপ্রিল এবং ওই সময় লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর ছিল।
[৩] দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি উত্তরদাতা বলেছেন আগামী ৬ মাসে কোম্পানিগুলোর বাজার ছাড়ার খুব বেশি আশঙ্কা রয়েছে। ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন তারা আগামী মাসেই ব্যবসা হারাবেন এবং ৪৩ শতাংশের মত হচ্ছে ৬ মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাবে।
[৪] উপসাগরীয় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে আমিরাতে দুবাই সর্বনিম্ন তেল নির্ভর এবং সর্বাধিক বৈচিত্রময় এলাকা যা আন্তর্জাতিকমানের আতিথেয়তা, পর্যটন, বিনোদন, রসদ, রিয়েল এস্টেট এবং খুচরা ব্যবসা বাণিজ্যের কে মিলন কেন্দ্র।
[৫] জরিপে দেখা যাচ্ছে দুবাইয়ের অর্ধেক আন্তর্জাতিকমানের হোটেল, রেস্টুরেন্ট পর্যটকের অভাবে আগামী মাসে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ৭৪ শতাংশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম এজেন্সি এবং ৩০ শতাংশ ট্রান্সপোট এন্ড স্টোরেজ কোম্পনি তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে একই সময়ে।
[৬] দুবাই চেম্বারের ‘ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-নাইনটিন অন দুবাই বিজনেস কম্যুনিটি’ প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০০৮সালের মহামন্দার সময় দুবাইতে এধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। নগরের দোকানপাট, শপিং মল থেকে শুরু করে বিনোদন কেন্দ্র ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় শহরটি ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে।
[৭] দুবাইতে গত এপ্রিলে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোম্পানি সক্রিয় ছিল। কিন্তু তারা এখন দীর্ঘমেয়াদী বন্ধে চলে গেছে। চেম্বারের এক মুখপাত্র বলেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ছাড়া অবস্থার কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। এপর্যন্ত আমিরাতে ২৬ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ২৩৩ জন মারা গেছে।
[৮] দুবাইয়ের অর্থনীতি গতবছর ১.৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দশ বছর আগে বিশ্বব্যাপী মন্দা দুবাইকে তার ধনী ও আরো রক্ষণশীল প্রতিবেশি আবুধাবি থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার সহায়তা নিতে বাধ্য করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :