নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] ২০১১ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপে মাশরাফির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য এখনো পোড়ায় ক্রিকেট ভক্তদের। আর ক্রিকেট অধিনায়কের পদ থেকে অব্যহতি নেয়ার দিনের কথা তো মাত্র দুদিন আগের। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে এই দুইবার ইমোশনাল হয়েছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক।
[৩] ২০১১ বিশ্বকাপে নিজেকে ফিট ও ম্যাচ খেলার উপযোগী প্রমাণের পাশাপাশি নিজের ক্ষতি হলে সেটার দায়ভারও নিজে নিবেন এমন শর্তেও খেলতে রাজি ছিলেন মাশরাফি। তবে তখনকার ফিজিওর ভুলে সে আশা মরীচিকায় পরিণত হয়।
[৪] তামিম ইকবালের নিয়মিত লাইভ আড্ডার শেষ পর্বে শনিবার রাতে অতিথি হিসেবে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। আড্ডার এক পর্যায়ে ২০১১ বিশ্বকাপ মিস করা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে টাইগারদের অন্যতম সফল কাপ্তান মাশরাফি জানান কীভাবে তখনকার ফিজিওর ভুলে বাদ পড়তে হয় তাকে।
[৫] ‘আমি কি জন্য বলি আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। যখন ডেভিড ইয়াং রিপোর্টটা পাঠিয়েছিল আমাদের তখনকার ফিজিও মাইকেল হেনরির কাছে দূর্ভাগ্যজনকভাবে ও যখন সেটা লিখে পাঠায় তখন পুরো মেইলটা ওর কাছে আসেনি।’
[৬] ‘মেইলটা যখন আসছে রিড মোর অপশন থাকে সে ঐ অপশনে যায়নি। ও উপরেরটুকু দেখেই ওটা নির্বাচকদের কাছে লিখে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমি ডাক্তারের (ডেভিড ইয়াং) সাথে ফোনে কথা বলি যে তুমিতো বললা অপশনটা আমার হাতে, আমি খেলতে পারবো তবে খেলতে গিয়ে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে পুরো দায়ভার আমার। সেখানে মেইলে এমন কিছু আসেনি কেন?’
[৭] ‘তখন সে বলল নাহ, আমিতো পুরোটাই লিখে পাঠিয়েছি। তখন আমি হেনরিকে বললাম, সে বলল দেখ তুমি মোবাইল চেক করে। পরে আমি যেটা দেখলাম সে (মাইকেল হেনরি) আর নীচের অপশনে যায়নি। এরপর সে আমাকে সরি বলেছে। কিন্তু ওর সাথে তখন আর ঝামেলা করেতো লাভ নাই। মূলত আমি যেটা বললাম আমার ফ্যামিলিকে ব্যাক পাবো দেখেই এসব আমার সাথে ঘটেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :