কামরুল ইলাম বাবু : [২] দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে এবার কার্প জাতের মা মাছ রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে। দূষণ-বালু উত্তোলন, চোরাশিকার প্রায় বন্ধ হওয়ায় পর অনুকুল পরিবেশ থাকায় এবার গত একযুগে সর্বোচ্চ ডিম সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
[৩] সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হালদা থেকে এবার ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ হয়েছে, যা গতবছরের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি। ২৮০ টি নৌকায় ৬১৫ জন মিলে এই ডিম সংগ্রহ করেছেন।
[৪] হালদা গবেষক অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়ার মতে, কারখানা বন্ধ করে দূষণ ঠেকানো, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, মানিকছড়ি পাহাড়ে তামাকচাষ বন্ধ করা, বছরব্যাপী চোরাশিকারি ও বালু উত্তোলনকারীদের তৎপরতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকায় এই সুফল এসেছে।
[৫] অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মথে হালদা নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে যে পরিমাণ রেনু উৎপাদিত হবে তা দেশে অর্থনিথিতে বিরাট অবদান রাখবে।
[৬] হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ২৫ হাজার ৫শত ৩৬ কেজি মা মাছের ডিম থেকে এবার ১০ হাজার কেজি রেনু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতি কেজি রেনুর মূল্য ৫০ হাজার টাকা করে বিক্রয় হলে ৫০ কোটি টাকার রেনু বিক্রয় হতে পারে।
[৭] এদিকে রাউজানে সরকারী হ্যাচারি ও মাটির কুয়া গুলোতে হালদা নদী থেকে সংগ্রহিত মা মাছের ডিম থেকে রেুনু ফুটানোর কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছে।
[৮] ২৩ মে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনায়েদ কবির সোহাগ ও রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার পিযুষ প্রভাকর হ্যাচারিতে রেনু ফুটানো কাজ পরিদর্শন করে।
আপনার মতামত লিখুন :