ডেস্ক রিপোর্ট : [২] উপসর্গ নেই, তাই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনাও দেননি, কিন্তু বুধবার (২০ মে) হঠাৎ করেই তার মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম থেকে (এমআইএস)। সেখানে তার কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানানো হয় নেগেটিভ। ঢাকার বাসিন্দা হলেও সেই এসএমএসে দেখানো হয় ময়মনসিংহের নাম। তিনি একজন নারী হলেও এসএমএসে তাকে পুরুষ বলে উল্লেখ করা হয়।
[৩] অপর একজন চিকিৎসক জানান, ওই চিকিৎসক ২০ মে এসএমএসটি পান। সেখানে তার নাম ও বয়স উল্লেখ নেই। এমনকি ১৮ মে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয় সেই এসএমএসে।
[৪] নমুনা পরীক্ষা না করেও ফলাফল পাওয়ার মতো ঘটনা অনেকটা অবাক করা হলেও এসএমএসে ভুল তথ্য দেয়াটা আসলে নতুন কিছু না বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন। একজন ভুক্তভোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে এসএমএস’র মাধ্যমে। সেখানে তার নাম ও বয়স ঠিক থাকলেও তাকে পুরুষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ভুক্তভোগী নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়েও দুর্ভোগে পড়েন। কষ্ট করে নমুনা দিয়ে এলেও ফল পায় ভুল।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, হয়তো ডাটা এন্ট্রিতে মিসটেক হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। হয়তোবা এমন হতে পারে যে, যখন নম্বরটা তোলা হয় তখন হয়তো কোনো একটি ডিজিট প্রেস করতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি, আশা করছি খুব দ্রুত সমাধান করে ফেলতে পারব।
[৬] এর আগে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে পাওয়া বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক (এমআইএসস) সমীর কান্তি সরকার বলেন, আমরা নমুনা পরীক্ষা খুব দ্রুতই করে ফেলেছি। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফলাফল সফটওয়্যারে এন্ট্রি দিতে হয়। তার পরেই সাধারণত মেইলে ও মোবাইলে দেয়া হয়। কিন্তু সেই এসএমএস বা মেইল যাওয়ার জন্য কাউকে ডাটা এন্ট্রি দিতে হয়
[৭] ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের স্বল্পতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যে হারে আমাদের কাজ হয় তাতে একেকটা সেন্টারে ২ থেকে ৩ জন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থাকা উচিত। সে জায়গায় আমরা ১ জনও দিতে পারিনি। আমাদের যারা ডাটা এন্ট্রি দেয় সেখানে যথাযথ জনবল নেই। সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :