লিহান লিমা : [২] জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা এগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়া তাদের ছেড়ে দেয়ারই প্রয়াস। এর আগে খাসোগজির সন্তানদের মধ্যে একজন টুইটারে বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
[৩]এই বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১৮ সালে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে জামাল খাসোগজির হত্যা সৌদি রাষ্ট্র কর্তৃক বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড। শুক্রবার সৌদিআরবের শরীয়া আইনুযায়ী এই হত্যার ক্ষমার ঘোষণা হত্যাকারীদের ছেড়ে দেয়ারই প্রথম পদক্ষেপ। গত ২০ মাস ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তির প্রতিক্ষা করে রয়েছে।
[৪]খাসোগজির বাগদত্তা হেতিজা চেঙ্গিস বলেছেন, খাসোগজিকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এর ক্ষমা করার অধিকার কারো নেই।
[৫]গত ডিসেম্বরে রিয়াদের গোপন বিচারালয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
[৬]তুরস্কের তদন্তকারী দল, সিআইএ ও জাতিসংঘের তদন্তকারীদল এক প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এই হত্যকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে।