মনিরুল ইসলাম : [২] ঘূর্ণিঝড়ে দূর্গতদের পুনর্বাসনে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে খেতমজুর ইউনিয়ন ও বিপ্লবী কৃষক সংহতি।
[৩] খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আকবর খান এবং বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শান্ত শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
[৪] বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২৬টি জেলার কয়েক লক্ষ কৃষক পরিবার, মৎস্য খামারী ও গ্রামীণ নানা পেশার ন্যূনতম এক কোটি কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
[৫] তারা বলেন, জলোচ্ছ্বাসে কয়েক লক্ষ একর ফসলের জমি, কয়েক হাজার মৎস্য খামার বিনষ্ট হয়েছে; ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে চরম বিপদে পড়েছে; হাজার হাজার পরিবার। ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে অসংখ্য বাঁধ ভেঙে লবন পানি ঢুকে পরবর্তী আবাদও এখন হুমকীর মধ্যে পড়েছে। এমতাবস্থায় দুর্গত ও নিঃস্ব কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের অনতিবিলম্বে উপযুক্ত ত্রাণ সহযোগিতা, নগদ অর্থ প্রদান ও পুনর্বাসনের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
[৬] বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এবার সুন্দরবন মায়ের মত করে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের জানমাল রক্ষা করেছে। সুন্দরবন এই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসকে অনেকখানি দুর্বল করে দিয়েছে। তা না হলে আরো মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে হতো। তাই সুন্দরবন রক্ষায় সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।প্রাণ-প্রকৃতি-জীব বৈচিত্র্য বিনাশী ও সুন্দরবন ধ্বংসকারী যাবতীয় তৎপরতা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :