রাশিদ রিয়াজ : [২] রাশিয়ার পতাকার আদলে রং করা জাহাজটিকে দেখলে মনে হবে ছোট ভাসমান এক শহর। উত্তরমেরুর মত দুর্গম অঞ্চলে পূর্ণমাত্রায় পারমানবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এটি। আরটি
[৩] ‘দি আকাডেমিক লমোনোসভ’ নামের এ পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ডিজাইন ও নির্মাণ করেছে রাশিয়া। বাণিজ্যিকভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে কারিগরীভাবে পুরোপুরি এটি প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রুশ জালানি কোম্পানি রোসাটম। চুকোতকা অঞ্চলের পেভেক নামক স্থানে এটিকে ভাসমান রাখা হয়েছে।
[৪] পেভেক এলাকায় গত ৭৫ বছর ধরে কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে বাসিন্দারা। পরিবেশ দূষণে অনেকেই বিরক্ত। গত ডিসেম্বর থেকে ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৪৭.৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে যা ওই এলাকার চাহিদার ২০ শতাংশ। দুটি কেএলটি-৪০এস আইচব্রেকার নিউক্লিায়ার রিএ্যাক্টর থেকে এটি এখন প্রতিঘন্টায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও ৫০ গিগাক্যালরিস তাপশক্তি উৎপাদন করবে।
[৫] রোসাটমের মহাপরিচালক আন্দ্রে পেত্রভ জানান এটি রাশিয়ার ১১তম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত বছরের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে এটি। এখন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার কারিগরি, পারমানবিক ও পরিবেশ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছে কোম্পানিটি।
[৬] তীব্র ঠান্ডায় উত্তরমেরুতে খাওয়ার পানি ও ঘর গরম রাখার জন্যে বিদ্যুৎ পাওয়া রীতিমত এক বিস্ময়কর ব্যাপার। সেখানে বিদ্যুৎ সেখানকার বাসিন্দাদের নতুন জীবন এনে দিয়েছে বলে রোসাটমের নির্মাণ পরিচালক ভিটালি ট্রুথনেভ জানান।
আপনার মতামত লিখুন :