রাশিদ রিয়াজ : [২] গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার বেড়েছে ৩.৯ মিলিয়ন। কিন্তু আমেরিকানস ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেস এবং ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিস বলছে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে’র মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউনে বিলিওনারিদের মোট সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৯৪৮ থেকে ৩.৩৮২ ট্রিলিয়ন ডলার। আরটি
[৩] মার্কিন শীর্ষ কোটিপতিরা হচ্ছেন জেফ বেজোস, বিল গেঁস, মার্ক জুকারবার্গ, ওয়ারেন বাফেট ও ল্যারি এলিসন। তাদের সম্পদ মোট ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭৫ বিলিয়ন ডলার। তারা একসাথে গত দুই মাসে ৬ শতাধিক কোটিপতির সম্পদের ২১ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখেছেন।
[৪] অ্যামাজনের বেজোস ও ফেসবুকের জুকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ৬০ বিলিয়ন যা অনদের সম্পদ বৃদ্ধির বা ৪৩৪ বিলিয়ন ডলারের ১৪ শতাংশ। গতমার্চে ফোর্বস’এর বিলিওনারির তালিকায় ৬১৪ জন ছিলেন। এতে নতুন একজন যোগ হয়েছেন ক্যানি ওয়েস্ট ১.৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে।
[৫] গত দুই মাসে টেসলার এলন মাস্কের সম্পদ আরো ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যার পরিমান ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
[৬] আমেরিকানস ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেসের নির্বাহী পরিচালক ফ্রাঙ্ক ক্লেমেন্ট বলছেন করোনা সংকটে ধনী ও গরীবের বৈষম্য আরো তীব্র করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন ৩.৯ মিলিয়ন মানুষ বেকার, দেড় মিলিয়ন করোনা আক্রান্ত, ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে তখন এই ধনীদের উচিত বেঁচে থাকার জন্যে মার্কিনীদের পিছনে আড়াইশ বিলিয়ন ডলার খরচ করা।
[৭] ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিসের পরিচালক চাক কলিন্স বলছেন এধরনের সম্পদের বৈষম্য অসম বলিদানের ভুতুড়ে প্রকৃতি। যখন লাখ লাখ মানুষ কাজ হারিয়ে বেঁচে থাকার হুমকিতে তখন অর্থনীতি ও কর ব্যবস্থাই এমন যে সম্পদ পুঞ্জিভ‚ত হচ্ছে শুধুমাত্র উপরের স্তরের মানুষের হাতে।
আপনার মতামত লিখুন :