দেবদুলাল মুন্না: [২] ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেন, ডায়াগনস্টিকের দুটি উইন্ডোর মধ্যে একটি ভাইরাল উইন্ডো, অন্যটি হোস্ট উইন্ডো। হোস্ট মানে মানব শরীর। কোনো ব্যক্তি যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তখন তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিকারী যে অঙ্গগুলো থাকে তারা একটি বায়োমার্কার তৈরি করে। এই বায়োমার্কার ভাইরাস দূর করে। আমাদের কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন অর্থাৎ দুটি উইন্ডোই পরীক্ষা করা যাবে।
[৩] তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে একটি ডাক্তার পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাবা-মা-ছেলে তিনজনই ডাক্তার। তিনজনই করোনা পজেটিভ। তাদের নমুনা আমাদের কিট দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম ছেলের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বাবার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে সামান্য, যা শনাক্ত করা যায় না। কিন্তু তার অ্যান্টিজেন তৈরি হয়েছে। মায়ের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, অ্যান্টিজেন হয়েছে। এই তিনজনের ক্ষেত্রে আমরা যদি শুধু অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতাম, তবে শনাক্ত হতো একজন। যদি শুধু অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হতো, তাহলে শনাক্ত হতেন দুইজন। যেহেতু আমরা অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন দুটিই পরীক্ষা করেছি, তাই তিনজনকেই শনাক্ত করতে পেরেছি।এ কারণেই শতভাগ সাফল্যের প্রসঙ্গ আসছে।
[৪] তিনি জানান, এ কিট দিয়ে মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব। কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্যে বিএসএমইউকে ৪০০ কিট দেয়া হয়েছে। তারা ট্রায়াল শুরু করেছে। আশা করছেন ঈদের ছুটির পরপরই তারা রিপোর্ট দিয়ে দিবে।
আপনার মতামত লিখুন :