সালেহ্ বিপ্লব : [২] প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। লকডাউন ঘোষণার পর গত তিনমাসে এই প্রথমবার দিল্লির বাইরে সফর করছেন মোদী। সকাল ৯টার দিকে দিল্লি থেকে রওনা দেন মোদী। ১১টার কিছু আগে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়। এনডিটিভি, খবর অনলাইন, ওয়ানইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিন
[৩] মমতা আগের দিনই জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন দেখতে দমদম থেকে তিনটি চপারে করে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমম্ফান বিধ্বস্ত এলাকায় যান মোদী ও সফরসঙ্গীরা। একটি চপারে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আরেকটি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয়। আরেকটিতে ছিলেন মোদির সচিবালয়ের কর্তারা। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে তারা রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, কুলতুলি, ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার অবস্থা দেখেন তারা। পরিদর্শনের পর বসিরহাট কলেজ প্রাঙ্গণে চপার থেকে নামেন তারা। উপস্থিত জনতা তাদের ওপর ফুলের পাঁপড়ি ছিটায়।
[৪] বসিরহাট কলেজের একটি ঘরে বৈঠকে বসেন মোদী ও মমতা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে মোদী বলেন, বাংলার ক্ষতিতে তিনি ব্যথিত। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দু’লাখ রূপি করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে মমতা ব্যানার্জি আম্ফানকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
[৬] নরেন্দ্র মোদী ৮৩ দিন পর দিল্লি থেকে বের হয়েছেন। সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আজ তিনি উড়িষ্যায় যাচ্ছেন। রাজ্যসরকার জানিয়েছে, প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :