গোলাম সারোয়ার : কিছু লোক আছে, বিপদ আসলে, তাদের জুমজাম লাগে। কী যে আনন্দ তখন তাদের। আমার এক বন্ধুও আছে এমন। দেশের বিপদ দেখলে তার সে কি উত্তুঙ্গ আনন্দ। একদম বিহারীর মতো। ২০ মে সেরকম তারা আনন্দে ছিলো, আম্ফান আমাদের খাইয়া দেবে। না, এবারো আমরা বেঁচে গেছি। তাদের আজ আবার মন খারাপ। সুনসান নিরবতা। যেন স্বয়ং তাদের ফেভারিট দল সাত গোল খাইছে। এরা প্রতিদিন আশা ধরে থাকে।
করোনায় দুই আড়াই হাজার লাশ ফেলবে প্রতিদিন। কিন্তু লাদেনের ভিডিও বার্তার মতো আমাদের সিডিসির আড়াইটার ভিড়িও বার্তার পর এদের মনে হতাশা ধরে। আক্ষেপ করে কেউ কেউ বলেন, শালারা প্রতিদিন বিশ আর একুশের নামতা পড়ে। নিশ্চয়ই লাশ লুকোচ্ছে। ‘র’ সব লাশ নিয়ে যাচ্ছে। পুড়িয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে। আচ্ছা, মানুষ এমন কেন? বিপদ কি খালি আমাদের খাবে? তাদের খাবে না? শেষ কথা হলো, সিডিসির লাদেন মার্কা ভিড়িও বার্তা বন্ধ করেন।
মানুষ স্বাভাবিক দিন দুনিয়া করুক। গর্তে লুকিয়ে থেকে যুদ্ধের ঢং আর কতোদিন। যুদ্ধে জিততে হলে যুদ্ধের সাজে-কৌশলে জীবন যুদ্ধের ময়দানে যেতে হবে। গর্তে থেকে যুদ্ধে জেতার কোনো কায়দা নেই। মানুষ যতোদিন বাঁচুক, বীরের মতো বাঁচুক। মরার আগে না মরুক। ভাতের অভাবে না মরুক। যুদ্ধ করে বাঁচুক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :