শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইকোনোমিস্ট, জেপি মরগ্যান অথবা বিশ্বব্যাংকের কৌশিক বসুরা অর্থনীতির উপর তলাটা দেখেন

মাহা মির্জা : বাসা থেকে বের হয়েই দুজন অদ্ভুত ভিখারির সামনে পড়ে গেলাম। শার্টপ্যান্ট পরা শক্ত-সমর্থ চেহারার ভিখারি। মাথানিচু করে বলে যাচ্ছে স্যার কিছু সাহায্য করেন। জিজ্ঞেস করলাম কী করেন? বলে, গাড়ির স্টাফ। বুঝলাম কোনো বাসের কন্ডাক্টর বা অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়তোবা। কিছু সাহায্য করলাম। তারা কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করলেন, সালাম দিলেন। আমি তাড়াতাড়ি সরে গেলাম। কর্মঠ মানুষ, ঘাম ঝরিয়ে কামাই করতেন, এখন হাত পাততে হচ্ছে, এই দৃশ্যটা সহ্য করা কষ্টের। সম্প্রতি বণিকবার্তায় দেখলাম, এবারের এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা।

 

আগের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। ভৌত অবকাঠামোতে বরাদ্দ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ২৫ হাজার কোটি টাকা। আচ্ছা এই পরিবহন খাতটা ঠিক কোন পরিবহন খাত? এই পরিবহন খাতে সারাদেশের ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিকের না খাওয়া পেটগুলোর গল্প লেখা আছে তো?
এই ভৌত অবকাঠামো খাতে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে যাওয়া ৩০ লাখ নির্মাণ শ্রমিকের গল্পটা আছে? এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয় যে, আচ্ছা আপনারা বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যা বলেন, আর ‘ইকোনোমিস্ট’ বাংলাদেশ নিয়ে যে সব প্রতিবেদন ছাপায়, তার মধ্যে তো কোনো মিল খুঁজে পাই না। মিল কেমনে পাবেন বলেন। ইকোনোমিস্ট, জেপি মরগ্যান অথবা বিশ্বব্যাংকের কৌশিক বসুরা অর্থনীতির উপর তলাটা দেখেন। আমরা দেখি অর্থনীতির ভেতরটা। তার কলকব্জা, তার হৃৎপি-, তার প্রাণভ্রোমরা। তারা নোট দেখেন, আমরা মানুষ দেখি। তারা দেখেন, ৪০ বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি, সম্পদের পাহাড় এবং ৫২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। আমরা দেখি শ্রমিক নিয়ে এক নিদারুণ নিষ্ঠুর পিংপং খেলা, সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়ার ফুরিয়ে যাওয়া চাল। প্রতিমুহূর্তে ছাঁটাইয়ের ভয়।

 

হেঁটে হেঁটে শত মাইল পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর এক অসম্ভব যাত্রা।
তারা দেখেন ৩০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ, নবম শক্তিশালী অর্থনীতি। আমরা দেখি রিজার্ভের তলায় চাপা পড়ে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকের বুকভাঙা সব কাহিনি। কাতারে, সৌদি আরবে আটকেপড়া শ্রমিক, না খেয়ে থাকা শ্রমিক, ঋণের চাপ সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে মরে যাওয়া শ্রমিক। একটি, দুটি, তিনটি নয়, ১৩ বছরে ফেরত আসা ৩৩ হাজার কফিন। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক ধসের ঠিক আগে আগে আইএমএফের চিফ অলিভিয়ে ব্ল্যানচার্ড তার স্টেইট অফ ম্যাক্রো আর্টিকেলে লিখেছিলেন, ‘দ্যা স্টেইট অফ ম্যাক্রো ইজ গুড’। ধসের ঠিক আগে আগে সব তালেবর অর্থনীতিবিদরা আমেরিকার অর্থনীতি নিয়ে কী কী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলো তার উপর একটা ডকিউমেন্টেশন করেছিলো ফোর্ব ম্যাগাজিন। সময় পেলে ওই সব উপরতলার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়