লাইজুল ইসলাম : [২] রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসাইন ও ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, আর নট বা আর জিরো মানে বেসিক রি-প্রোডাকটিভ রেট। প্রতিদিন আমাদের দেশে একজন
[৩] করোনা রোগি কতজনকে সংক্রমিত করতে পারেন? সেই হিসেব। মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনা রোগি ধরা পরার পর থেকে এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। তবে এই হিসেবটি করোনা সংক্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ রুপে বলা যাবে না।
[৪] ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, বর্তমান হিসেবের সঙ্গে প্রথম দিকের হিসেবের এখন মিল পাওয়া যাবে না। প্রথম দিকে একটু কম হলেও মাঝের দিকে এটি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। এখনো সেটি চলমান আছে। একজন আর নট দুজনকে সংক্রমিত করতে পারে বর্তমানে। তবে এটি একসময় তিনজন পর্যন্ত হয়েছিলো।
[৫] ডা. আলমগীর বলেন, সংক্রমণের এই হার বৃদ্ধি পেয়েছিলো সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় একজন আর নট ৪ জনকে পর্যন্ত সংক্রমিত করেছে। কিন্তু তা এখন কমে এসেছে।
[৬] ডা. মোস্তাক হোসাইন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী একজন আর নট ৪ জন পর্যন্ত সংক্রমিত করতে পারে। এটি ব্যাপক হারে ছাড়ানো এলাকাগুলোতে দেখা যায়। যেমনটি হয়েছিলো উহানে বা ইতালিতে। সেখানে ক্লাস্টার আকারে ব্যাপক সংক্রমণ হয়।
[৭] ডা. মোস্তাক বলেন, ঢাকায় কিছুটা হয়েছিলো যা ৩ বা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত গিয়েছিলো। এর কারণ হিসেবে ধরা হয়েছিলো লকডাউন না মানা। তবে এটা এখন ধীরে ধীরে কমে আসছে।
[৮] এই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, আর নট এক সময় ১ এর নিচে নেমে আসবে। যখন দশমিক ৫ বা ৭ হবে তখন আমরা সব কিছু স্বাভাবিক করে দিতে পারবো। তবে সেটি হতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। প্রতিটি এলাকা ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে সব খুলে দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :