ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে প্রতারনা ও নির্যাতনে স্বীকার তিনি। তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন ও বোনদের সহযোগীতায় পরিকল্পিতভাবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, টাকা-পয়সা ও পিতার সকল সম্পত্তি, টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য তাকে পাগল ও নেশাগ্রস্থ সাজানো হয়। এছাড়া তাকে প্রায় ৯ বছর রিহ্যাব সেন্টারে আটক রাখা হয়।
[৩] ডা. রাফেল মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, রিহ্যাবে থাকাবস্থায় তারা বাবা ডা. এ,কে, এম সামসুদ্দিন তখন গুরুতর অসুস্থ্য। ২০১১ সালে ২৮ ডিসেম্বর হার্ট ফাউন্ডেশনে আইসিইউতে ব্রেন ডেথ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি মারা যান। তখনও তিনি রিহ্যাবে বন্দী অবস্থায়। প্রতারনা করে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা ও বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ও টাকা- পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন গং এই অপকর্মগুলি করেছেন।
[৪] তিনি আরো বলেন, তার বাবার যৌথ ট্যাক্স ফাইল ও যৌথ টিন ছিল। এনবিআর এর ১৯৮৪ সালের ৩৬ ধারা অনুযায়ী টেক্স ফাইলের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকারী (লিগ্যাল হিয়ার) তিনি। তার বাবা মারা গেলেও ১৯১৬ সালের লিগ্যাল হিয়ার আইন পরিবর্তন হওয়ার কারণে তাকে ট্যাক্স ফাইলে জীবিত দেখ নো হয়েছে। এছাড়া তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন তার বাবা ডা. এ,কে,এম সামসুদ্দিনের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য মৃত সামসুদ্দিনের কন্যা দাবি করে কখনো তার স্ত্রী বা বোন সাজিয়া বাবাকে জীবিত দেখিয়ে রিহ্যাবে থাকাবস্থায় সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
[৫] রাফেল বলেন, তার মা প্রতিনিয়ত ও বিভিন্ন লোক মারফতে জীবন নাশের হুমকি দুমকি দিচ্ছেন। যেকোন মুহুর্তে জীবনে মেরে ফেলতে পারে। তিনি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। প্রান বাঁচাতে বিভিন্ন যায়গায় আত্মগোপনে থাকছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়েরিও করা হয়েছে। এ অবস্থায় মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন তার সঙ্গে যে অন্যায় অত্যাচার ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান রাফেল।
[৬] মানবাধিকার প্রতষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার মহাসচিব মো. নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ কুমার পাল, যুগ্মমহাসচিব কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
[৭] এ বিষয়ে অভিযুক্ত মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন বলেন, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :