আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকায় একটি হাঁসের খামার থেকে সরকারি সীল যুক্ত ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৩] এ ঘটনায় ওই খামারের মালিক ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ফজল করিমের ছেলে মো. ছায়েদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
[৪] পরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা'র পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত, সরকারি ২০ বস্তা এই চাল জব্দের নির্দেশ দিয়ে কোনো রকম জরিমানা ছাড়াই খামারি ছায়েদ আলীকে এ দায় থেকে মুক্তি দেন।
[৫] এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে চালসহ খামারি ছায়েদ আলীকে আটক করেন সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহাদাত হোসেন।
[৬] বৃহস্পতিবার রাতে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই সাহাদাত হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত চালগুলো ১০ টাকা কেজি দরে দুস্থদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির বলে জানা গেছে। খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রাম যুক্ত প্রতিটি বস্তায় লেখা ছিলো, "শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।"
[৭] পুলিশের এই এসআই আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে আমরা ২০ বস্তা চালসহ খামারি ছায়েদ আলীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করি। সরকারি এ চাল তার খামারের হাঁসগুলোকে খাওয়ানোর জন্য ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিনেছেন বলে ছায়েদ আলী পুলিশকে জানিয়েছেন।
[৮] সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা জানান, সরকারি ২০ বস্তা চাল জব্দের পর খামারি ছায়েদ আলীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
[৯] এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাকশিমুল ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বাড়ি জয়ধরকান্দি গ্রামে।
[১০] স্থানীয় একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তার ঘনিষ্ঠ লোকদের নাম খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মূলত এসব উপকারভোগী এ চাল না খেয়ে সবসময়ই বিক্রি করে আসছে। তাছাড়া তারা সরকারি সহায়তা পাবার যোগ্যও নই। এ গ্রামে অনেক দুস্থ মানুষ আছে, যারা চেয়ারম্যানের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :