ডেস্ক রিপোর্ট : [২] ঘূর্ণিঝড় আম্পান দেড়শ কিলোমিটারের বেশি বেগে বয়ে গেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার ওপর দিয়ে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহীসহ মোট ১৯টি জেলাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঝড়ের তান্ডব। দীর্ঘস্থায়ী এ ঘুর্ণিঝড় যেন ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা।
[৩] ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জের কাদিরকোল গ্রামের আব্দুল করিম বিশ্বাস। ৬৫ বছর বয়সে অনেক ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ‘এক কথায় জীবনেও এমন ঝড় দেখিনি। বুধবার সকাল থেকেই ঝুম-ঝুম বৃষ্টি। সময় যত গড়াতে থাকে, বাড়তে থাকে বাতাসের গতি। সন্ধ্যার পর শুরু হয় আম্পানের তা-ব। আমাদের এখানে রাত ৯টার দিকে ঝড়ের গতি সর্বোচ্চ বেড়ে যায়, সঙ্গে বৃষ্টি। প্রচ- গতি ছিল রাত আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত। এর পর বৃষ্টি কমে গেলেও ঝড়ের গতি কমে আসতে ভোর হয়ে যায়।’
[৪] তিনি বলেন, ‘রাত ১০টার পর আমার পাড়ার দুই-একটি পাকা বাড়ি ছাড়া বেশিরভাগ আধাপাকা ও কাঁচা বড়ির লোকজন ভীত-সন্ত্রন্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে টিকতে না পেরে পাড়ার লোকজন দুটি পাকা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বাড়ি দুটি যেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়। সকালে দেখা যায় অনেকের ঘরের টিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পর মাঠের দিকে গিয়ে যে ক্ষতি প্রত্যক্ষ করি, তা আর ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
[৫] কৃষিজীবী আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার গ্রামের বেশির ভাগ লোকই কৃষক। সবার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হওয়া কঠিন। একটি গাছেও আম নেই। দুই-একটি ছাড়া বাগানের গাছগুলো হয় ভেঙে গেছে, নইলে উপড়ে পড়েছে। একটি কলাগাছও নেই। মাঠে অনেকের ধান ছিল, সেগুলো পানিতে ভেসে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা পঙ্গু হয়ে গেলাম।’আমাদের সময়, যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :