জেরিন মাশফিক : [২] ডা. আলী মোহাম্মদ যিনি বিশ্বে মালা আলী কুর্দিশ নামে পরিচিত। আর তার পরিচিতি এসেছে মূলত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে রোগী সুস্থ করে তোলার কারণে।
[৩] চমকে যাওয়া মতো তথ্য হলো মালা আলীর চিকিৎসার ধরণ পুরোটাই ইসলাম ধর্মভিত্তিক। তিনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে অনেক রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন। তার চিকিৎসার বহু ভিডিও ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
[৪] তিনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে যে চিকিৎসাগুলো দিয়ে থাকেন তার মধ্যে- অন্ধত্ব, বধির, জ্বীনের আছর, প্যারালাইসিস অন্যতম।
[৫] পুরো ইরাক জুড়ে তার ৪টি সামাজিক অলাভজনক হাসপাতাল রয়েছে। ‘চ্যারিটি হসপিটাল প্রফেট মেডিসিন হসপিটাল’ নামে তার হাসপাতালগুলো চলে।
[৬] ভাইরাল হওয়া তার এক ভিডিওতে দেখা যায় ,মেয়েটি ঘুমাতে পারে না। মাঝে মাঝে তার ওপর জ্বীন আছর করে। সে নিজেকে কষ্ট দেয়। মাথায় আঘাত করে। হাতের কাছে যা পাই ভেঙ্গে ফেলে ফেলে। আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ করে। চল্লিশ দিন যাবৎ এমন অবস্থা । পরে মেয়েটির পরিবার তাকে ডা. মালা আলী কুর্দিশ এর কাছে নিয়ে আসে। ডা. কুদিশ তার চিকিৎসা শুরু করে এবং সম্পূর্ণ কুরআনের আয়াত এর মাধ্যমে চিকিৎসার করে মেয়েকে জ্বীনের আছর থেকে মুক্ত করেন।
[৭] এরকম আরোও কিছু ভিডিও ভা্ইরাল হয় যেখানে দেখা যায় বোবর মুখে জবান ফিরিয়ে দিচ্ছে কুরআনের এক একটি আয়াত পড়ে। এভাবে তিনি অনেক অন্ধের দৃষ্টিও ফিরিয়ে দিচ্ছে।
[৮] এক সাক্ষাৎকারে ডা. মালা আলী কুর্দিশ বলেন, সকল কিছুর মালিক আল্লাহ। যারা সুস্থ হয়ে উঠছেন তাদের সবাইকে আল্লাহ তায়লাই সুস্থ করে তুলছেন। আমি শুধু উসিলা মাত্র। তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ আল্লাহ প্রদত্ত এমন একটি শক্তি শালী গ্রন্থ, যার মাধ্যমে বহু রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। আমি শুধু আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করছি।
সূত্র: ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে নেয়া
আপনার মতামত লিখুন :