শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৫৯ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]পিপিই সংকটের অভিযোগ তোলায় ডাক্তারকে মেরে পাঠানো হলো পাগলাগারদে

আক্তারুজ্জামান : [২] হাসপাতালে মাস্ক-পিপিইসহ চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের এক চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর আবার পুলিশের হাতে মারধর এবং মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয়বার তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন। খবর : বিবিসি ও বণিক বার্তা

[৩] গত শনিবার থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানাস্থেসিস্ট ডা. সুধাকর রাওকে মারধর ও মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওগুলো বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

[৪] ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমের দক্ষিণাঞ্চলের যেখানে ডা. রাও বসবাস ও কাজ করেন, সেখানকার একটি মহাসড়কে তাকে পুলিশের সঙ্গে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরে তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

[৫] একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ডা. রাও খালি গায়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাড়ির ভেতরে বসে আছেন এবং তার আশেপাশে পুলিশ চিৎকার করছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কনস্টেবল তাকে লাঠিপেটা করছেন এবং পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় তিনি রাস্তায় শুয়ে আছেন। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উৎসুক জনতার ভিড়ের সামনে পুলিশ অফিসাররা ওই চিকিৎসকে ধরে অটোরিকশায় তুলছেন।

[৬] পুলিশ বলছে, চিকিৎসককে লাঠিপেটা করা ওই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত হবে।

[৭] তবে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ওই সময়ের মধ্যে জড়ো হওয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা আমাকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে। তারা আমার ফোন ও ওয়ালেট ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে মারধর করে।’

[৮] এর আগে গত ৩ এপ্রিল সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডা. রাও গণমাধ্যমে বলেছিলেন, চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় একটি টেলিভিশকে তিনি বলেন, ‘নতুন মাস্ক চাওয়ায় আমাদের ১৫ দিন ধরে ব্যবহার করে আসা মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

[৯] এ ঘটনায় সরকার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং ডা. রাওকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও জনসম্মুখে বলেছেন, ডা. রাও অন্য চিকিৎসকের মনোবল দুর্বল করে দিচ্ছেন। এর কয়েক দিন পর রাও একটি ভিডিওতে ক্ষমা চান এবং তার বরখাস্তের আদেশ বাতিলের আহ্বান জানান। কিন্তু তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

[১০] রাওয়ের মা কাবেরি রাও বলেন, তার কোনো মানসিক স্বাস্থের সমস্যা নেই। তিনি একজন নামী চিকিৎসক। হাসপাতালে সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর থেকে তাকে নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এসব নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি খুব চাপের মধ্যে ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়