শিরোনাম
◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৪৫ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আম্ফান আক্রান্ত কলকাতাকে বলতে চাইÑ ভালোবাসি এই সহমর্মিতা জাতি, রাষ্ট্রের সব সীমান্ত পেরিয়ে যাক

ইরফানুর রহমান রাফিন : কলকাতায় একবারই গেছিলাম জীবনে, একুশ শতকের শুরুর দিকে কোনো এক বিস্মৃত বছরে, সে স্রেফ যাওয়ার জন্য যাওয়া। এখন আর কেউ ব্যবহার করে না মনে হয়, এমন একটা কোডাক ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি ছাড়া, সেই ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতি মাথায় নেই। শহরটার সাথে পরিচয় হয়েছিলো আরও অনেক পরে, সাহিত্যের মাধ্যমে সেটা, সুনীলের সেই সময় আর সমরেশের সাতকাহন পড়ে। দীপাবলি আমাদের প্রজন্মের অনেকের প্রথম প্রেমিকা ছিলো, আমরা কেউ কেউ নবীনকুমার হতে চেয়েছিলাম। আমরা জানতাম বারোই মে অঞ্জনের মালার জন্মদিন আর মাথার ভেতর এলভিস প্রিসলি থাকলেও খাতার ভেতরে মেরি অ্যানের নাম থাকে, সুমনের মতো আমাদের কাছেও এই নশ্বর জীবনের মানে দাঁড়িয়েছিলো শুধু তোমাকেই চাওয়া, সেই তুলনায় নচিকেতার তথাকথিত জীবনমুখী গান আমাকে টানেনি। যশোর রোড শুনে সেকালে কাঁদার অভ্যাস ছিলো, আমি শুনেছি সেদিন মৌসুমী ভৌমিক নামটা ভালোবাসার প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছিলো।

 

মহীনের ঘোড়াগুলির হায় ভালোবাসি বহু পরে শোনা, ঘরে ফেরার গানে জমা আছে একটা শৈশব, তার হারানো গ্রামনদীদেশ। বিভূতি আর সত্যজিৎ-এর অপু ও দুর্গার জন্য ভালোবাসা তো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া অসুখ, কিন্তু সমকালীন কলকাতার সিনেমা জগত সম্পর্কে ধারণা কম, বলিউডের খবর সে তুলনায় বেশি রাখা হয়েছে। তখনো আমার দেবেশ রায় পড়া হয়নি, তখনো আমি ফাল্গুনী রায়ের নামটাও জানি না, মাসুম ছিলাম এতোটাই। তারপর একদিন মা মহাশ্বেতার গদ্য আর ছেলে নবারুণের কবিতার সন্ধান পেয়ে গেলাম, জানলাম কলকাতা এক নয়, অনেক। এর ভেতরেই দুনিয়ায় ফেসবুক এসে গেলো, যাদবপুরের আন্দোলনের খবর এসে গেলো জানবিবিতে, আমরা জানলাম কলকাতা বেঁচে আছে।

 

নিওলিবারালিজম তার সবটুকু খেয়ে ফেলতে পারে নি। লেনিনের লাশ ঘাড়ে নিয়ে ঘোরা লোকগুলো ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, কিন্তু মানুষ তার মতো করেই লড়ছে, খুঁজে যাচ্ছে মুক্তির পথ। সিজার বলেছে, আমি যদি আবার কখনো কলকাতায় যাই, নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো তার ফ্ল্যাটে। সৌম্যঋতের কারণেই আমার প্রথম উপন্যাসটা ঢাকায় নয়, কলকাতায় বের হয়, কেউ কিনবে না জেনেও রক্তিমদা ওটা পাবলিশ করেন। দোস্তো তুহিন আর তার বৌ অমৃতাÑ আমি যাকে দি’ভাই ডাকি - ক্যালকাটান হলেও প্রবাসী বর্তমানে, দুজনেই আমাকে পছন্দ করেন সেটা বোঝা যায়, তবে কেন করেন সেটা জানি না। কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে জেনেও জীবনানন্দ সুচেতনার কাছেই রাখতে চেয়েছিলেন স্বীয় হৃদয়, আমি শুধু আমফানআক্রান্ত কলকাতাকে বলতে চাই ভালোবাসি, এই সহমর্মিতা জাতিরাষ্ট্রের সব সীমান্ত পেরিয়ে যাক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়