মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারীর প্রভাবে চরম দূরবস্থা পার করছে রাশিয়ার ক্রিমিয়ার পর্যটন ব্যবসা। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে রাশিয়ায় যুক্ত হওয়া স্বাধীন এ অঞ্চলটির মূল আয় হচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বজুড়ে ডাকা লকডাউনে বিদেশি পর্যটক না আসায় খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছে ক্রিমিয়ার এ খাত। রয়টার্স
[৩] ব্ল্যাক সী পেনিনসুলাতে হোটেল ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করা একজন হচ্ছেন নাটালিয়া ক্রিচিনকো। গ্রীষ্মকালে তার হোটেল ব্যবসা পুরোটাই নির্ভর করে রাশিয়ান পর্যটকদের ওপর। এখন পর্যটক শূন্যের কোটায়। যদি পর্যটক আসেও সেক্ষেত্রে তা জুলাই কিংবা আগস্টের শেষের দিকে। এর আগে আসার কোন সুযোগ দেখছি না।
[৪] তিনি বলেন, আমার ৩০ বেডের হোটেলটি সম্পূর্ণ খালি। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য থাকার সঙ্গে বিনামূল্য খাদ্য সরবরাহের অফার কর্মসূচি চালু করেছি। এতে লাভ থাকে না তেমন, তবুও ব্যবসা ধরে রাখতেই এ অফার দিচ্ছি।
[৫] দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় হোটেল। তবে কোয়ারেন্টাইন নীতি মেনে কিছু পর্যটক আসার অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া সরকার। কিন্তু ভ্রমণে এসে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে আগ্রহী পর্যটক খুবই কম। ফলে পর্যটনশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ক্রিমিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায়।
[৬] এরইমধ্যে পেনিনসুলাতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন।
আপনার মতামত লিখুন :