রবিউল আলম : করোনার মহাদুর্যোগ বিশ্বকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। ভাবনার বিষয় নির্ধারণ করতে হয় সরকারকে। প্রতিটি দেশের সরকার প্রধান ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তার দেশের জনগণ, পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারও এ থেকে আলাদা নয়। জাতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনকে জনগণ থেকে এই বিপদের দিনে আলাদা করতে পারেননি। একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়ে চলেছেন, জনগনকে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনা করে চলেছেন। আমি বলবো না সব সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। করোনা সম্পর্কে বিশ্ব বিশেষজ্ঞরা একটিও সঠিক সিদ্ধান্ত আজও দিতে না পারার কারণে।
করোনা নিয়ে চলছে অনুমান নির্ভর চিকিৎসা ও দিকনির্দেশনা। সব বিষয় এখনো বলার সময় আসেনি। একটি বিষয় পরিষ্কার, করোনাকে এখন আর মরণব্যাধি বলা যাবে না। করোনা রোগী মৃত্যুর চেয়ে ভালো হওয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে। ইতোমধ্যে করোনাকে জয় করার অনেক পদ্ধতি বিশ্ব আবিষ্কার করেছে, আবিষ্কার হওয়ার পথে। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ডাক্তাররা রোগী দেখা শুরু করেছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো করোনায় মৃত্যু ব্যক্তির লাশ মাটি ও শ্মশানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ভয়কে জয় করাই তো বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য। জাতির জনকের বিখ্যাত উক্তি, আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।
মানুষ মরণশীল,তবে এখন আর ঘরে বসে আমরা মরতে ও দেশকে মারতে চাই না। বাজারে, ফেরিঘাটে, মার্কেটে, রাস্তায়, মসজিদে, গার্মমেন্টসÑ কোথাও শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করতে পারছি না। জনগণ ও দেশকে আমরা একসাথে মারতে পারবো না। সরকার ও সরকারের দায়িত্বশীল অংশীদাররা তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখে, লকডাউন শিথিল করতে হবে। উৎপাদন, রপ্তানি ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে, যোগাযোগকে সীমিত পরিসরে চালু করতে হবে। এখন আর পেছনে তাকানোর সময় নেই। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির
আপনার মতামত লিখুন :