এল আর বাদল : [২] টাকার অঙ্কটা অবিশ্বাস্যই বটে! জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ব্রেসলেটটির ওজন কতো? কতো টাকায় তিনি এটি বানিয়েছিলেন? নিলামে বিক্রি হওয়ার পর এই দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে।
[৩] মাশরাফিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ব্রেসলেটের ওজন কতটুকু, সেটা আমি নিজেই জানি না। কখনো ওজনের কথা মনেও হয়নি। আমার বন্ধু ১৮ বছর আগে মিরপুর ১২ নাম্বারের সি ব্লক থেকে আমার নামখচিত এই ব্রেসলেটটি বানিয়ে দিয়েছিলো।
[৪] মাশরাফি আরো বলেন, দেশের মানুষ আমাকে যে কতোটা ভালোবাসে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ব্রেসলেট। করোনাভাইরাসে অসহায় মানুষদের সাহায্য করবো বলে নিলামে তুলেছি। ১০০ টাকার জিনিসে এভাবে সাড়া পাবো কখনোই ভাবিনি। আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। যে কোম্পানি কিনেছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
[৫] দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসেসিয়েশন (বিএলএফসিএ) নিলামে মাশরাফির ব্রেসলেট কিনে নিয়েছে ৪২ লাখ টাকায়। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিন ইউ ইসলাম বলেছেন, মাশরাফির এই স্মারকটি আসলে অমূল্য। আমরা খুশি যে, এই টাকায় ব্রেসলেটটি নিতে পেরেছি।
[৬] নিলামে দাম চূড়ান্ত হওয়ার পর ভিডিও কনফারেন্সে মাশরাফি হাত থেকে ব্রেসলেট খুলে তুলে ধরেন। হাসিমুখে বলেন, এই যে, খুলে ফেলেছি। এটা আপনাদের, এখন আমার হাত খালি।
[৭] মাশরাফির এই কথার পরই মমিন ইউ ইসলাম তখন উপহার দেন আরেকটি বড় চমক। তিনি বলেন, এই ব্রেসলেট ১৮ বছর ধরে আপনার সঙ্গে আছে, এটি আপনার হাতেই মানায়। আমরা এটি আপনাকেই উপহার দিতে চাই।
[৮] মাশরাফি তখন অবিশ্বাস ও ভালোলাগায় দুই হাতে ঢেকে ফেলেন নিজের মুখ। তার প্রাণখোলা হাসিতেই যেন ফুটে উঠছিলো মনের অনুভূতি।
[৯] পরে বিএলএফসিএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অনুষ্ঠান করে ব্রেসলেটটি আবার পরিয়ে দেয়া হবে মাশরাফির হাতে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :