সুজন কৈরী : [২] বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টার ও কোস্টগার্ড স্টেশনে গত দুইদিন ধরে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছিল। বাহিনীর সদস্যরা উপকূলীয় অঞ্চলের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, চট্টগ্রামের অধীনস্থ দ্বীপ ও সুন্দরবন তৎসংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে ২ হাজার ২০৫ জনকে স্টেশনে আশ্রয় দিয়ে তাদের ইফতার ও খাবারের ব্যবস্থা করেন।
[৪] কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোস্ট গার্ডের ৬ জাহাজ ও বোটগুলো উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। লোকজনকে সাইক্লোন সেন্টারের আনা এবং তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে সচেতন করা হয়। কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে বিভিন্ন মানুষকে সচেতন করা হয়। তাদের স্টেশনে আশ্রয় দিয়ে ইফতারের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
[৫] ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের শুকনো খাবার ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা ছাড়াও কোস্টগার্ড তাদের সদস্যদের মাধ্যমে দুর্যোগকালীন ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মাঝে কোস্টগার্ডের সকল ধরনের সেবা ও সহযোগিতা প্রতিনিয়ত খোলা ছিল। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সহযোগিতার জন্য কোস্টগার্ড ঢাকা-চট্টগ্রাম, খুলনা-বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের হেল্প সেন্টার বা হেল্পলাইন চালু করে। যার মাধ্যমে যেকোনো ফোন কলে উপকূলীয় মানুষকে সহায়তা করা ও তাদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়।
আপনার মতামত লিখুন :