সুজিৎ নন্দী : [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তার নির্দেশ আমদেরকে অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে। দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। সকল ত্রাণসামগ্রী বা ঈদ-উপহার স্বচ্ছতার সাথে বিতরণ করতে হবে।
[৩] মেয়র আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য রাজস্ব আদায় বন্ধ আছে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রসারিত এলাকার কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অবিলম্বে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
[৪] বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় মেয়রের সভাপতিত্বে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, নিজস্ব তহবিল থেকে ডিএনসিসির ৮৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ-উপহার পাঠানো হবে।
[৫] সভায় আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার ১ হাজার ৮৯০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ঈদ-উপহার ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। এডিস মশা প্রতিরোধে চলমান চিরুনি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান’ জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি, ভবন, নির্মাণাধীন স্থাপনা ছাড়াও যে কোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৬] এ সময় বলা হয়, ৫৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেকের মাধ্যমে ১ হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হবে। এছাড়া অন্যান্যের মাধ্যমে আরো ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ-উপহার বিতরণ করা হবে। ঈদ-উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে চিনি ১কেজি, সুজি ৫০০ গ্রাম, মুসুর ডাল ১কেজি, মিনিকেট চাল ২ কেজি, ময়দা ১কেজি ও গুড়া দুধ ২৫০ গ্রাম থাকবে।
[৭] ঈদের নামাজের জামাত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাসে গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদের জামাতের আয়োজন করতে দেয়া যাবে না। এজন্য সকল কাউন্সিলরকে তিনি সচেতন থাকার নির্দেশ দেন।
[৮] সভায় সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, সচিব রবীশ্রী বড়ুয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
[৯] সবশেষে মেয়র যে সকল পরিবার ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা, ওএমএস কার্ড এবং অন্য কোনো ভাবে ত্রাণসামগ্রী পাননি মেয়র তাদের মাঝে এসকল ঈদ-উপহার বিতরণ করার নির্দেশ দেন। কোনো পরিবারকে যেন একাধিকবার ঈদ-উপহার দেয়া না হয় সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে এসব ঈদ-উপহার বিতরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকবেলায় চলমান অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।