মুসবা তিন্নি : [২] ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বুধবার রাতের ঝড়ে রাজশাহীর অন্তত ১৫ শতাংশ আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। আর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, আম ঝরেছে ২০ শতাংশ।
[৩] বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমবাগানগুলোতে ঝরে পড়া আমের স্তুপ। গাছের ডাল-পালাও ভেঙে গেছে। এবার লকডাউনের কারণে এমনিতেই দাম নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন আমচাষিরা। সাইক্লোনে এতো ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা আমচাষীরা।
[৪] আমচাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ে সব শেষ। এবার হয়তো আম পাড়তে যেতেই হবে না গাছে। যেন সব আম ঝরে পড়েছে। দুই-চারটা থাকলেও সেগুলোরও বেশিরভাগ ঝড়ের কারণে ফেটে যাবে।
[৫] তিনি বলেন, আমচাষিদের পাশে সরকার না দাঁড়ালে এবার তারা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন। অনেকই পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল হক বলেন, আমরা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে শহরে ১০ শতাংশ এবং চারঘাট উপজেলায় ১৫ শতাংশ আম ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখছি। বাঘা উপজেলায় বাগান বেশি। সেখানে যাব। তারপর আম ঝরে পড়ার প্রকৃত চিত্রটা বলতে পারব।
[৭] তিনি বলেন, আম ঝরে গেলে তো ফলন কমবেই। এখন চাষিরা যদি আমের ভালো দাম না পান তাহলে হয়তো এবার তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই আমের যেন সঠিক মূল্য পাওয়া যায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমাদের করতে হবে।
তিনি জানান, ঝড়ে রাজশাহীর অন্য কোনো ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। মাঠে পাকা ধান আছে। সেগুলো মাটিতে শুয়ে গেছে। তবে ধান পেকে যাওয়ায় চাষিরা তা এখন কেটে নেবেন। তাই ধানের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু ধান ঝরে যেতে পারে। মাঠের সবজির কোনো ক্ষতি হবে না।
[৮] রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, জেলায় আম্পানের স্থায়িত্ব ছিলো আধা ঘণ্টার মতো। এর প্রভাবে রাজশাহী অঞ্চলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সেইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতও হয়।
[৯] রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১ মিলিমিটার। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :