সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু
বেহেশত থেকে বেহেশতেরর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সময় এসে গেছে। বাংলাদেশের যতো সেরা সেরা বেহেশতখানা আছে, তার সব ঢাকায় বসানো হয়েছে। সেরা কিন্ডারগার্টেন, সেরা স্কুল। সেরা কলেজ। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা হাসপাতাল। সেরা পার্ক। সেরা পার্লার। সেরা চিড়িয়াখানাও ঢাকায়। সমস্ত রাজনৈতিকদলের হেড অফিস। সমস্ত মন্ত্রণালয়ের হেড অফিস। সমস্ত অধিদপ্তরের হেড দপ্তর। সমস্ত ব্যাংক,বীমার হেড অফিস। বিমানবন্দর। রেল স্টেশন। নৌবন্দর। যাদুঘর। স্টেডিয়াম। সিনেপ্লেক্স। শপিংকমপ্লেক্স। গার্মেন্টস কারখানা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।
সমস্ত ওষুধ কোম্পানির হেড অফিস, এমনকি কৃষি বিভাগের খামার বাড়ি, মৎস্যভবনও ঢাকাতেই রাখতে হবে। সমস্ত বেহেস্ত একজায়গায় রেখে বেহেস্তের হিমালয় বানাবেন আর আদমে আদমে সয়লাব হবে না, তা কী করে হয়! বেহেশত থেকে বেহেশতের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সময় এসে গেছে। হীরাজ-হরতের বাগান নতুন করে সাজান, আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন, নইলে কেউ তা ভোগ করতে পারবেন না। আজ করোনা এসেছে, কাল তার যমজ আরেক ভাই এসে হাজির হবে। ঢাকা থেকে সমস্ত গার্মেন্টস সরান। সরকারি, বেসরকারি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় সরান, কলেজ, হাইস্কুল সরান। কেবল প্রাইমারি লেভেলের স্কুল থাকবে ঢাকায়, আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকায় থাকবে না। ব্যাংক, বীমা, ওষুধ কোম্পানি,গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির হেড অফিস ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে দিন। আরও আছে ঢাকাকে হালকা করার কাজ। করোনা লাগবে না, দেখতে দেখতে ডেঙ্গু, জলাবদ্ধতা,অতিমানুষ,অতি যানজটে, বায়ূদূষণে রাজধানী ঢাকা এমনিতেই মরে ভূত হয়ে যাবে। লাখ লাখ লোক ঢাকা ছাড়ে, লাখ লাখ লোক ঢাকায় আসে দেখে আমরা বিলাপ করি, ‘গাইল পারি’ কেন আসে, কেন যায় তা কিন্তু ‘খতিয়ে’ দেখি না। এই রাজধানীরে ভেন্টিলেটর দিয়ে, আইসিইউতে রেখেও বাঁচানো যাবে না। এমন করে চললে অবহেলা, অযতনে বস্তিতে বস্তিতে থাকা বঞ্চিত কোটি, কোটি মানুষের শহরে পরিণত হবে ঢাকা। [আমি কিন্তু ঢাকায় থাকি না] ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :