শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২০, ০৫:৩৩ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০২০, ০৫:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখন ঈদ বিলাসিতার সময় নয়

ফারুখ আস্তানা

ঈদ বিলাস টোটালি বন্ধ করা যেতো না। এখন বিলাসিতা করার সময় নয়। সরকারের হাতে প্রচুর ক্ষমতা, তা ব্যবহার করুন। নিরব থেকে কেন খামাখা বদনামে ভাগি হবেন? দেশে এভাবে অপ্রয়োজনীয় ছাড় দিলে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না। খাবারের প্রয়োজনে সীমিত আকারে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, তাও আবার শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে। গার্মেন্টস খোলা হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বাজারটা মাথায় রেখে। পোশাকখাত যেখানে প্রধান আয়ের উৎসের মধ্যে পড়ে, তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও এটা চালু রাখতে হবে। অঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করবে। বিলাসিতা করার জন্য নয়। শশুর-বাড়িতে যাওয়ার জন্য নয়। কক্সবাজার হানিমুনে যাওয়ার জন্য নয়। ঈদ বিলাস করার জন্য নয়। সড়কে গাড়ি চলবে। পণ্যবাহী। এম্বুলেন্স।
দৈনন্দিন দরকারি জিনিসপত্র খাবার মেডিসিন বিদেশে পাঠানোর কাজে নিয়োজিত কাঁচামাল মেডিসিন ও গার্মেন্টস পণ্য সিপমেন্ট করার জন্য। বিনা দরকারে ঘুরতে যাওয়ার মতো ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পরিবহণ চলতে দেওয়া ঠিক হবে না। রাস্তার প্রতিটা যানবাহন তল্লাশি করে মানুষকে জিজ্ঞেস করা উচিত, তারা কী প্রয়োজনে, কোথায় যাচ্ছে। বিলাসিতা মনে হলে আটক করুন, অর্থদ- দিয়ে পায়ে হাঁটিয়ে ফিরিয়ে দিন যেদিকে থেকে এসেছে আবার সেদিকে। ফেরিঘাটগুলো কি একটা পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে ঈদ করতে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। প্রথম কথা হলো এরা সাহস কীভাবে করলো এরকম একটা দুনিয়াব্যাপি মৃত্যু পরিস্থিতি যেখানে সেখানে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। হঠাৎ করে পড়ে মারা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই। চিকিৎসা অভাবেও মানুষ মারা যায়।
করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো মেডিসিন বা টিকা আবিস্কার হয়নি। তার উপর অর্ধেক পৃথিবীর থমকে আছে। দেশে লকডাউন চলছে। দিনকে দিন আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। এমতাবস্থায় মানুষ ঈদ পালন করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। তারা একটু সরকারে আদেশ-নির্দেশনা মানার প্রয়োজন বা তোয়াক্কা করলো না। দেশ-দুনিয়া পরিস্থিতি ডিনাই করে এভাবে ঈদ করতে যাওয়া বিলাসিতা নাকি মূর্খতার মধ্যে পড়ে। জীবন বাজি রেখে যারা ঈদ করতে ইতোমধ্যে সড়ক রাস্তাঘাট, ফেরিঘাটগুলোতে ভিড় করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর হোন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়