আনিস তপন : [২] বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আম্পান মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এ কথা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান
[৩] প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ১৯ টি জেলার মোট ১৪ হাজার ৬৩৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৩০৭ জন মানুষকে এপর্যন্ত সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে । এছাড়াও ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৩২ টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ।
[৪] এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন
[৫] ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ধারণক্ষমতা ৫৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০৭ জন । কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে । আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে । পর্যাপ্ত আলো/বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।
[৬] প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে । তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :