এস এম নূর মোহাম্মদ : [২] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বুধবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য ও পরিবার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপচালক, আইইডিসিআরের পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এবং পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে ইমেই এ নোটিম পাঠান। নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
[৩] নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি বক্স, চেম্বার, ট্যানেল, গেইট ও বুথের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের দেহে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে করোনার জীবানু দূর করার পদ্ধতি নিতে দেখা যাচ্ছে। who মানবদেহে কোন ভাবেই ব্লিচ থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের জীবাণুনাশকের ব্যবহার নিষেধ করেছে। তারা বলেছে এইরুপ জীবানু নাশকের প্রয়োগ চোখ এবং চামড়ার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
[৪] এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্পষ্ট করে তাদের গাইডলাইনে জানিয়েছে, তারা স্যানিটাইজিং ট্যানেলের ব্যবহার সমর্থন করে না। এছাড়া তারা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এরুপ জীবানুনাশক প্রয়োগে করোনার ভাইরাস ধ্বংসের কোন প্রমান নেই।
[৫] এতে আরও বলা হয়, ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৯ এপ্রিল মানব দেহে জীবাণুনাশক ব্যবহার কোন প্রকারেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত গবেষণাতেও মানবদেহে এইরুপ জীবানুনাশক প্রয়োগ বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন এবং ঝুঁকিপুর্ণ নিয়ে যে কোন ডিভাইসের মাধ্যমে মানবদেহে জীবাণুনাশক ব্যবহার এবং প্রয়োগ বাতিল করেছে । এছাড়া বিবিসি বাংলাও এর ক্ষতি নিয়ে ১৬ মে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
[৬] নোটিশে বলা হয়, এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্বনে একদিকে সরকারের প্রচুর অর্থের ব্যয় হবে অন্যদিকে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকিতে পড়বে । এ জাতীয় ডিভাইস সরবরাহ ও স্থাপন করে একটি ব্যবসায়ী চক্র বাংলাদেশে ঝুঁকিপুর্ণ পণ্যের বাজার তৈরি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে চায় বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :