মিনহাজুল আবেদীন : [২] ঈদ সামনে রেখে ঢাকা থেকে গ্রামের পথে ছুটতে শুরু করেছেন মানুষ। অথচ দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সমকাল
[৩] মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫নং পন্টুন এলাকায় পদ্মা নদীতে দৌলতদিয়াগামী ঈদযাত্রী বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনাও ঘটছে। দেশ রূপান্তর
[৪] এদিকে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে জনসমুদ্র এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি সার্ভিস বন্ধ করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে অবৈধ ট্রলারে চড়ে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। শারীরিক দূরত্ব তো দূরে থাক, মানছে না কোনো আইন। কালের কন্ঠ
[৫] এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও গ্রামমুখী মানুষের স্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। সোমবার ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পথে মানুষের ঢল নেমেছিল মাওয়া, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে। জনস্রোত থামাতে শেষ পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[৬] গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, পিকআপভ্যান ভাড়া করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এ অবস্থায় বিপদ বাড়ছে গ্রামের। করোনার সংক্রমণ এবার গ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
[৭] জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও অধিকাংশ মানুষ তা মানছেন না। এতে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ হবে। অধিকসংখ্যক মানুষ শনাক্ত ও মৃত্যুবরণ করবেন।
[৮] ডা. সহিদুল্লা বলেন, কার্যকর লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করা এবং একের পর এক ভুলের কারণে আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। পরবর্তী ঘটনার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী থাকব। তবে এ প্রতিরোধ করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :