রাশিদ রিয়াজ : [২] দুটি সুখই-৫৭ রুশ জঙ্গি বিমান আকাশে উড্ডয়ন করল। চালকের আসনে বৈমানিক নয় রোবট। গোপনেই এ মিশন সম্পন্ন করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। স্টারইউকে
[৩] আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ব্যবহার যুদ্ধক্ষেত্রে হতে পারে তারই এক সফল পরীক্ষা চালাল রাশিয়া এমনটি বলছে রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি।
[৪] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রণক্ষেত্রে ব্যবহারের বিষয়টি খুব একটা গোপন করতে চান না প্রেসিডেন্ট পুতিন। যদিও কিছু সমর বিশেষজ্ঞ এ নিয়ে শঙ্কা করেন।
[৪] রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামরিক ব্যবহার ভবিষ্যতের কোনো বিষয় নয়। এটি ইতিমধ্যে এক বাস্তবতা যা যথেষ্ট শক্তিশালীভাবেই উপলব্ধি করা হচ্ছে।
[৫] সুখই-৫৭ রাশিয়ার ৫ম প্রজন্মের জঙ্গি বিমান। ২০১০ সালে এটি প্রথমবার উড্ডয়ন করে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন বিমানটি সিরিয়ায় উড্ডয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
[৬] ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে বিমানটি কতটা নিরাপদে উড্ডয়ন করতে পারে তার এক উদাহরণ তৈরি হল।
[৭] মস্কো সুখই-৫৭ বিমানটির সম্ভাব্য ক্রেতার খোঁজ করলেও তা এখনো সরকারিভাবে উড্ডয়নের নির্দেশ কবে নাগাদ পাবে তা জানা যায়নি।
[৮] যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অনেক বেশি ধংসযজ্ঞ ডেকে আনবে বিধায় এ নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। ক্যাম্পেইন টু স্টপ কিলার রোবটস নামে একটি গ্রুপ বলেছে আমরা নতুন প্রজন্মেও এ অস্ত্র ব্যবহারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি যা অর্থবহ মানবিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ব্যাপকভাবে গণহত্যা চালাতে পারে।
[৯] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক সামরিক উপকরণ ইতিমধ্যে ব্যবহারের অনুমতি বিভিন্ন দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বা ইসরায়েলে ব্যবহৃত এধরনের অস্ত্র মানুষের সাহায্য ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত ও আঘাত করতে সক্ষম।
আপনার মতামত লিখুন :