মঈনুল আহসান সাবের : সেই ছোটবেলা থেকে রজনীকান্ত আমার প্রিয় নায়ক। তার ৩-৪ টা সিনেমা আজ সিলেক্ট করেছি। আগে অবশ্যই দেখা, কারণ তার সিনেমা আমি বাদ দিই না, আবার দেখব। রজনীকান্ত কীভাবে প্রিয় হয়ে উঠলেন, তার পেছনে শৈশবে দেখা তার এক সিনেমার ভূমিকা আছে। ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে। বড়সড় ডাকাতি। তারচেয়েও বড় কথা, পালানোর সময় ডাকাতদল ব্যাংকের ভেতর গুলি করে মেরে রেখে গেছে।
পুলিশ মরিয়া হয়ে উঠল ডাকাতদের ধরার জন্য। কিন্তু তাদের শতচেষ্টা বৃথা গেলো। ডাকাতদের টিকিও তারা ছুঁতে পারলো না। ওদিকে পুলিশ অফিসার রজনীকান্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। শেষে পুলিশ বিভাগ লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে রজনীকান্তকেই অনুরোধ করলো। আর রজনীকান্তও অভিমান ভুলে মানবতার সেবায় এগিয়ে এলেন।
অফিসে এসে পুরো ঘটনার ফুটেজ চাইলো সে। ল্যাপটপ টেবিলের ওপর রেখে গভীর মনোযোগের সঙ্গে ফুটেজ দেখতে শুরু করলো। ডাকাতরা পালাচ্ছে, এই অংশটুকু সে বারবার দেখলো। তারপর আরেকবার দেখার সময় রজনীকান্ত একটু পিছিয়ে গিয়ে দৌড়ে এসে ফুটেজের ভেতর ঢুকে পড়ে ডাকাতদের ধরে ফেললো। তাও খালি হাতে। ভাবা যায়। সেই থেকে রজনীকান্ত আমার প্রিয়।
আপনার মতামত লিখুন :